top of page

ভোট গণনার পর সিল করা তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার, চাঞ্চল্য গাজোলে

ভোট গণনার প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় উদ্ধার সিল করা তিনটি ব্যালট বাক্স। গাজোলের ডিসিআরসি থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। দফায় দফায় অবরোধ, বিডিও অফিসে তালা ঝোলানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গাজোল। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় হুমকি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।



উল্লেখ্য, ভোটের পরই গাজোলের সালাইডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের ৮৩ নম্বর বুথের তিনটি ব্যালট বাক্স উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। খগেনবাবু অভিযোগ করেছিলেন, ৮৩ নম্বর বুথের গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদের ব্যালট বাক্স ভোটকর্মীরা জমা দিলেও স্ট্রংরুমে সেই ব্যালট বাক্সগুলি জমা পড়েনি। শাসকদল ওই ব্যালট বাক্সগুলিতে ছাপ্পা ভোট মেরে গোপনে জমা দিয়ে জেতার চেষ্টা করছে। ওই ব্যালট বাক্স যাতে স্ট্রংরুমে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে রাতভর স্ট্রংরুমে পাহারা দিয়েছিলেন খোদ বিজেপি সাংসদ। পরে ওই বুথে পুনর্নির্বাচন হয়।


গতকাল রাতে গাজোলের হাজি নাকু মোহম্মদ হাইস্কুলের ২০৭ নম্বর রুম থেকে তিনটি সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। এই খবর চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়৷ গোটা রাত স্কুল ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্কুলের সামনে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপির নেতৃত্বরা। এমনকি পরে বিডিও অফিসে তালাও মেরে দেওয়া হয়।



সাংসদ খগেন মুর্মু জানান,

গতকাল হাজি নাকু মোহম্মদ হাইস্কুলের একটি ঘর থেকে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া গিয়েছে৷ এই ব্যালট বাক্সগুলি এল কোথায় থেকে? এভাবে যে কত ব্যালট বাক্স এরা স্ট্রংরুম কিংবা ডিসিআরসি থেকে সরিয়েছে তার ঠিক নেই। গণতন্ত্রকে লুট করা হয়েছে, এটা তার প্রমাণ৷ তিনটি ব্যালট বাক্স ছাড়া কীভাবে গণনা সম্ভব হল? শাসকদলের লোকজন তিনটি ছাপ্পা মারা ব্যালট বাক্স স্ট্রংরুমে ভরে দিয়েছিল। এনিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শুভময় বসু জানান,

গাজোল, বামনগোলা, হবিবপুর ও পুরাতন মালদা থেকে মানুষ অনেকাংশে বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হারের ভয়ে খগেন মুর্মু নাটক করছেন৷ গাজোলের ডিসিআরসি থেকে যে তিনটি বাক্স উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি বাতিল ভোটের বাক্স৷ তবে নিশ্চিতভাবে প্রশাসনের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentários


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page