উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় মালদার ৩, খুশির হাওয়া
এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে মালদার তিন পড়ুয়া। ৪৯৪ পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র অভিষেক গুপ্ত৷ ৪৯২ পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বুলবুলচণ্ডী গিরিজাসুন্দরী বিদ্যামন্দিরের সুপ্তোত্থিতা সরকার এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের আরেক ছাত্র অর্ণব কর্মকার। উচ্চমাধ্যমিকে মালদা জেলার এমন ফলে খুশির হাওয়া জেলার শিক্ষামহলে।
মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা অভিষেক। বাবা শিবশান্ত গুপ্ত পেশায় মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশনিস্ট, মা অনামিকা সাহা গুপ্ত শিক্ষিকা। অভিষেক জানান, যখন ভালো লাগত, পড়তাম৷ দিনে ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা হত৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছিলাম৷ তখন থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে আরও ভালো ফল করার চেষ্টা শুরু করি। স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি পাঁচ গৃহশিক্ষকও সবসময় সহযোগিতা করতেন৷ পড়াশোনার ফাঁকে গল্প-উপন্যাস কিংবা শিক্ষামূলক বইপত্র পড়তে ভালো লাগে৷ ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই৷
অর্ণব জানান, পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। আশা করেছিলাম ভালো ফল করতে পারব। তবে এত ভালো আশা করিনি। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক, গৃহশিক্ষক, বাবা-মা সহ পরিবারের সকলেই সাহায্য করেছেন। নিয়মমাফিক পড়াশোনা করতে পারতাম না। দিনে ৪-৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি। অবসর সময়ে ছবি আঁকতে, গল্পের বই পড়তে, গিটার বাজাতে ভালো লাগে। ভবিষ্যতে আমি ডাক্তার হতে চাই।
সুপ্তোত্থিতা জানান, ঘণ্টা হিসেব করে পড়তাম না। প্রতিদিন হয়তো চারটে বিষয়ের নির্দিষ্ট কিছু ঠিক করে নিতাম সেসবই পড়তাম। পরে প্রতিদিন ছয়টি বিষয়েই রিভিশন করতাম। প্রথমে ছয় জন শিক্ষক থাকলেও বাংলার শিক্ষক পড়ানো ছেড়ে দেন। তখন ইউটিউব দেখে পড়তাম। আগামীতে আমার শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Commenti