পাকুয়াহাটের ঘটনায় ক্লোজ আইসি সহ ৪ পুলিশকর্মী
বামনগোলার পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের ঘটনায় চার পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করলেন পুলিশসুপার। যদিও এনিয়ে পুলিশসুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় শুধুমাত্র এই চার পুলিশকর্মী নন, আরও অনেকেরই শাস্তি প্রাপ্য। পুলিশসুপারও নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা৷ চারদিন পর এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ সেই ভিডিয়ো টুইট করে ঘটনার সমালোচনা করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য৷ এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আন্দোলনে নামে বিজেপি৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশসুপারের দফতরের সামনে ধর্ণায় বসেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ ২৬ ঘণ্টা লাগাতার ধর্নার চালানোর পরেও পুলিশসুপারের দেখা পাননি খগেনবাবু। পরে এনিয়ে লোকসভা অধিবেশনের জিরো আওয়ারে আলোচনার জন্য লোকসভার ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দেন উত্তর মালদার সাংসদ। পুলিশসুপারের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারকেও চিঠি দেন খগেনবাবু৷
জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, বামনগোলা থানার এসআই সঞ্জয় সরকার এবং পাকুয়াহাট ফাঁড়ির এএসআই মিলনকুমার সরকারকে ক্লোজ করেছেন পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব। গতকাল রাতে তিনি এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তবে এনিয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনাপ্রসঙ্গে খগেন মুর্মু জানান,
এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ পুলিশসুপারের বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রিভিলেজ মোশন নিয়ে এসেছি৷ লোকসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি জবাব দেবেন৷ এখন চাপে পড়ে পুলিশ সুপার চার পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করতে বাধ্য হয়েছেন৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশসুপার সহ আরও বেশ কিছু পুলিশকর্মী জড়িত। কারণ, তাঁরা পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments