ধর্ষকের হাত থেকে রেহাই পেল না পাঁচ বছরের শিশুও
ধর্ষিতা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জনমানসে ক্ষোভ তুঙ্গে রয়েছে। সেই আগুনে ঘি ঢালল মানিকচকের এদিনের ঘটনা। এবারে শিকার পাঁচ বছরের শিশু।
ধর্ষকের হাত থেকে রেহাই পেল না ছোট্ট শিশুও৷ শুক্রবার রাতে এই অভিযোগ উঠেছে মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিশুটির পিসি৷ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ৷ তবে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম ছোটন মণ্ডল৷ বয়স ২০৷ ওই শিশুটির বাড়ির হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি পরেই থাকে সে৷ প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে সেই বাড়িতে যাতায়াত রয়েছে ছোটনের৷ অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধেয় শিশুটি একাই ঘরে ঘুমিয়েছিল৷ সেই সময় সে ওই শিশুটির ঘরে ঢুকে পড়ে৷ ঘুমন্ত অবস্থাতেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে৷ যন্ত্রণায় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ এদিকে শিশুটির চিৎকার শুনে তার অভিভাবকরা ঘরে ছুটে যান৷ শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে যান স্থানীয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে৷ অভিযোগ, সেখানে পৌঁছে যান অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির লোকজন৷ অভিযুক্ত ছোটনের মা সুস্মিতা মণ্ডল গোটা বিষয়টি গ্রাম্য সালিশি সভায় সমাধানের প্রস্তাব দেন৷ এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় চাপানউতোর৷ তা নিয়ে রাতে শিশুটির পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেনি বলেই তাঁদের দাবি৷ অবশেষে শনিবার ভোরে ছোটনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পিসি ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়৷
মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ছোটন মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্টের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তবে অভিযুক্ত পলাতক৷ তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments