নির্বাচনের আগে রেশম শিল্পে ৭ কোটি বরাদ্দ রাজ্যের
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রেশম শিল্পের উন্নয়নে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ ভোট ব্যাংক বাড়ানোর চেষ্টা না রেশম চাষের ওপর রাজ্য সরকারের নতুন চিন্তাভাবনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি রেশম চাষিরা।
মালদা জেলার ১৫টি ব্লকের মধ্যে ১১টিতেই রেশম চাষ হয়ে থাকে৷ জেলার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ রেশমের উপর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত। প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে রেশম চাষ হয়। প্রতি বছর গড়ে ৬০০ মেট্রিক টন রেশম সুতো এই জেলায় উৎপাদিত হয়৷ বছরের চার মরশুম অনুযায়ী চাষগুলিকে বৈশাখী, ভাদরি, অঘ্রাণী আর ফাল্গুনি নাম দিয়েছেন রেশম চাষের সঙ্গে জড়িতরা৷ করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে রেশমচাষিরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, রেশম শিল্প নিয়ে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। রেশমচাষিদের সহায়তার বদলে আগের সুবিধেও বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রেশমকীট পালনের ঘর ও ওষুধপত্র বিতরণ সরকারের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ অবশেষে রেশম শিল্পের উন্নয়নে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত জামাল হোসেন জানান, সরকারের তরফে খুব ভালো জাতের ডিম দেওয়া হয়েছে৷ দফতর থেকে চাষের ওপর নজরদারিও চালানো হচ্ছে। সরকার যদি এই শিল্পে আরও আগ্রহ দেখায়, তবে জেলার রেশম শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হবে।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, মালদার অর্থকরী ফসল রেশম৷ এই শিল্পকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না৷ যারা রেশম শিল্পের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের যেন লাভ হয়, সেটাই তিনি চান। রেশম শিল্পের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি দাবি জানিয়েছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রেশম শিল্পকে ভীষণ গুরুত্ব দেন৷ তাই তিনি এই শিল্পের উন্নয়নে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন৷
[ আরও খবরঃ স্কুলের মধ্যে দোকান, পড়ুয়াদের দিয়ে সাফাইয়ের অভিযোগ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments