হিন্দু যুবকের শেষকৃত্যে সম্প্রীতির ধর্মে আস্থা মুসলিম শিক্ষকের
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- May 10, 2020
- 1 min read
Updated: Aug 11, 2020
করোনা আতঙ্কের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির স্থাপন করল হরিশ্চন্দ্রপুরের এক শিক্ষক। এক দরিদ্র হকারের শেষকৃত্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি। পরবর্তী সময়েও ওই পরিবারের জন্য যথাসাধ্য সাহায্য করার আশ্বাসও দেন তিনি।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রেলস্টেশন লাগোয়া রেলের জমিতেই বসবাস করত বিট্টু কর্মকার (২৪)। বিট্টু হকারের কাজ করত। জানা গেছে, ১২ দিন আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিট্টুর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল বিট্টু। তাঁর উপার্জনে সংসার চলত। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন বিট্টু। পরিবারের দাবি, অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বিট্টুর। এমনকি বিট্টুর শেষকৃত্য করার মতো পরিস্থিতিও নেই তাঁর পরিবারের। এই পরিস্থিতিতে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন দক্ষিণ মুকুন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বারিকুল ইসলাম। তিনি ওই পরিবারের হাতে বিট্টুর শেষকৃত্যের জন্য আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
[ আরও খবরঃ মাস্ক মুখে ছাঁদনাতলায় বর-কনে, সাক্ষী জনা আটেক ]
বারিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর মুখে ঘটনার কথা জানতে পেরেই ওই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে ওই যুবক। এদিকে অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মা ও নাবালিকা বোন তারা সকলেই এই লকডাউনের মধ্যে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আমি আমার সাধ্যমত উনাদের সাহায্য করেছি। এলাকার ভূমি কর্মাধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছি, সরকারি কোনও প্রকল্প থেকে ওদের মাথা গোঁজার জন্য কোনও ঘরের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখতে। মৃত যুবকের বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার শিক্ষার জন্য নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করব।
[ আরও খবরঃ টাঙনপাড়ে ফসলের খোঁজ, সাঁকো বানাচ্ছে চাষিরা ]
বিট্টুর বাবা মন্টু কর্মকার জানান, বারিকুল সাহেব পাশে না দাঁড়ালে তিনি তাঁর ছেলের শেষকৃত্য পর্যন্ত করতে পারতেন না। সরকারি সাহায্য না পেলে তাঁদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে।
Comentários