কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল রতুয়া
কলেজের কাছেই এক ধান ক্ষেত থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়
নিখোঁজ কলেজ ছাত্রীর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে উত্তেজনা ছড়াল রতুয়ায়। দোষীর শাস্তির দাবি তুলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। সামসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরজিনা খাতুন (২২)। গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ মরজিনা। শুক্রবার রাত্রে কলেজের কাছেই এক ধান ক্ষেত থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে মরজিনাকে।
বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান মরজিনার পড়াশোনা শেষ করার পরেই হওয়ার কথা ছিল
জানা গিয়েছে, রতুয়ার বাহারালের উত্তর সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনসুর সেখের মেয়ে, সামসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মরজিনা খাতুনের বিয়ে ঠিক হয় রুকুন্দিপুর গ্রামের বাপি সেখের সঙ্গে। সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বলেই জানা গেছে। বিয়ের সামাজিক প্রথা মেনে ‘মোহর’ হয়ে যায় তাদের। বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান মরজিনার পড়াশোনা শেষ করার পরেই হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, গত ১৪ অক্টোবর বাপি সেখ মরজিনাকে দেখা করার জন্যে ডাকে। সন্ধ্যের পরেও সে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন বাপির কাছে মরজিনার খোঁজ চান। কিন্তু বাপি জানায়, মরজিনা নাকি তার সঙ্গে দেখা করেনি। সেদিন রাতেই মালদা রতুয়া থানায় মরজিনার মিসিং ডায়ারি করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে বাপিকে গ্রেফতার করে। ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হলেও খোঁজ মেলেনি মরজিনার। অবশেষে গতকাল রাতে সামসির একটি ধানের ক্ষেত থেকে তার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
শনিবার সকাল থেকে দোষীর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মরজিনার বাড়ির লোক প্রকাশ্য দিবালোকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Comentários