মহকুমাশাসকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু, মুখে কুলুপ প্রশাসনের
সদর মহকুমাশাসকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। ঘটনার ৩৬ কেটে গেলেও এখনও প্রশাসনের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। গতকাল এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী। এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়তে শুরু করেছে উত্তাপ।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মালদা ক্লাব সংলগ্ন বাঁধ রোড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মহকুমাশাসকের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন পাপ্পু দাস (৩৮), তাঁর স্ত্রী সিমি দাস (৩০) ও মেয়ে অদৃজা (৭)৷ পরদিন সকালে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পাপ্পুবাবুর। পাপ্পুবাবুর মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনাকে ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টার একাধিক অভিযোগ উঠেছে পরিবারের তরফে। আজ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগেই বাড়িতে ছুটে যান উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর কাছে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন পরিবারের লোকজন।
সাংসদ জানান, মর্মান্তিক ঘটনা। চিকিৎসার গাফিলতির কারণে পাপ্পুবাবুর মৃত্যু হয়েছে। ওনার স্ত্রী ও মেয়ে বর্তমানে নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। অথচ গতকাল তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের থেকে তিনি শুনেছেন, মহকুমাশাসক নিজে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সাধারণ মানুষ এই ঘটনা ঘটালে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হত। কিন্তু এখনও মহকুমাশাসককে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁরা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে আসেননি। তাঁরা শুরু চান, এই পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার সবরকমভাবে দাঁড়াক।
এদিকে, ঘটনার পর গতকাল রাতে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। আজ দুপুরে ফের তিনি ওই পরিবারের কাছে যান। সাবিনা জানান, খুব দুঃখজনক ঘটনা৷ ঘটনা শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ গতকাল তাঁর দেওয়া ২ লক্ষ টাকার চেক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরা চাকরির দাবি করেছেন৷ কিন্তু এভাবে চাকরি হয় না৷ তার অনেক প্রসেস রয়েছে৷ মন্ত্রী হিসাবে বছরে তাঁরা অ্যাটেনডেন্স পান৷ সেই কোটা থেকে মেয়েটিকে গ্রুপ ডি চাকরি দেবেন তিনি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments