বন্দুকবাজের আতঙ্ক এখনও পড়ুয়া-শিক্ষকদের মধ্যে, কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ প্রশাসনের
পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে বন্দুকবাজের ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। এখনও আতঙ্ক রয়েছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকদের। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক কাটাতে পড়ুয়া সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দিল প্রশাসন। এনিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথাও হয়েছে। পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন মহকুমাশাসক।
গতকাল রাতে এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব। সঙ্গে ছিলেন সেই ঘটনার হিরো ডিএসপি আজহারউদ্দীন খানও। ধৃত দেব বল্লভকে আজ ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরদিনও এলাকায় থমথমে ভাব রয়েছে। স্কুলে এসেছে মাত্র ১০ শতাংশ পড়ুয়া।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বাগতম সাহা জানান, স্কুলে কোনও স্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী নেই৷ একজন অস্থায়ী কর্মী নিরাপত্তারক্ষীর কাজের পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য কাজও সামলান। সেই সুযোগ নিয়েই গতকাল এক ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে। প্রথমে কেউ প্রথমে বুঝতে পারিনি ওই ব্যক্তির কাছে বোমা-পিস্তল রয়েছে৷ স্কুলের শিক্ষকের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ ওই ব্যক্তির সঙ্গে ক্রমাগত কথা বলার পরামর্শ দেয়। ওই ব্যক্তি শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি ছিল৷ তাই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে ক্লাসরুমের দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এক পুলিশ আধিকারিক সাদা পোশাকে ক্লাসরুমে ঢুকে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। এই ঘটনায় পড়ুয়া-শিক্ষক সকলেই আতঙ্কিত। সেই কারণে আজ স্কুলের ১৮৫২ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র দেড় থেকে দুশো জন স্কুলে এসেছে৷ প্রশাসন সবাইকে কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দিয়েছে৷ এনিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে৷
আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বল্লভ বলেন, পুলিশই তাকে এসব করতে বাধ্য করেছে৷ কিছুদিন আগে ছেলের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল৷ ছেলে তার কাছে আসতে চাইছে৷ কিন্তু পুলিশ ছেলেকে কিডন্যাপ করে রেখেছে৷ সেই ভিডিও তার কাছে রয়েছে৷ তৃণমূলের কিছু নেতা ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে পরামর্শ দিয়েছে, সেই অডিও রেকর্ডিংও তার কাছে আছে৷
Comentarios