সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিহারের কমদামী ধানের বিক্রি অবাধে, চাঞ্চল্য
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Mar 4, 2022
- 1 min read
Updated: Mar 5, 2022
সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে। দালাল রাজের কথা মেনে নিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই বিভ্রান্তি বলে দাবি হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়কের। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের চাষিদের অভিযোগ, বিহার সহ ভিন রাজ্য থেকে কম দামে ধান নিয়ে এসে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে বিক্রি চলছে অবাধে। এই এলাকার চাষিরা ধান বিক্রি না করতে পারলেও তাদের মোবাইলে ধান বিক্রির মেসেজ আসছে। আসছে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার মেসেজও। তবে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্থানীয় কোনও চাষির নয়। সরকারি আধিকারিকদের মতে দালালরা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ।
মহেন্দ্রপুরের অভিযোগকারী চাষি মোহম্মদ মালেক বলেন,
সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে দুর্নীতি, দালাল রাজ চলছে। চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারছে না। আমি ধান বিক্রি না করতে পারলেও আমার মোবাইলে ধান বিক্রির মেসেজ এসেছে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকারও মেসেজ এসেছে। সরকারি আধিকারিক ও রাইস মিল মালিকরা এই দুর্নীতিতে যুক্ত।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে দুর্নীতি চলছে। দালাল রাজ চলছে সক্রিয়ভাবে। আমরা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সরকারি আধিকারিকরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই দুর্নীতি বন্ধ হওয়া দরকার।
হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তজমূল হোসেন বলেন, কিছু সমস্যা হয়ে থাকলে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে ধান ক্রয় কেন্দ্রে সব কাজ হচ্ছে। যা সমস্যা ছিল আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। কোনোরকম দালাল রাজ চলছে না। এগুলো ভুল কথা।
[ আরও খবরঃ বিজেপির সমর্থনে পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের ]
চাঁচল মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে বিষয়টি শোনা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খাদ্য দফতর আধিকারিকদের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários