নদীর চরে মাটি ফেলে প্লট করে জমি বিক্রি, হরিশ্চন্দ্রপুরে চাঞ্চল্য
প্রশাসনের নাকের ডগাতেই প্লট করে আস্ত নদী বিক্রির অভিযোগ। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের উপপ্রধানও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সুলতাননগর গ্রামপঞ্চায়েতের খন্তা গ্রামে।
বিহার থেকে এসে ফুলহরে মিশেছে কালকোষ নদী। বর্ষার শেষে নদীতে জল নেই বললেই চলে। সেই নদীর চরে মাটি ভরাট করে প্লট করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর প্লট ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দরে বিকোচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাফিয়ারা তৃণমূল আশ্রিত। মাফিয়াদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের কানে খবর গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ২০১৮ সালের বন্যার মতো ফের সকলকে এর ফল ভোগ করতে হবে।
সুলতাননগর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলি উপপ্রধান ওবাইদুর রহমান জানান, বিষয়টা তিনি শুনেছেন। আজকেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেও তা দেখে এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন তিনি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শেষ খলিল জানান, এই ঘটনার সঙ্গেও তৃণমূল জড়িয়ে রয়েছে৷ এ রাজ্যে যত অপরাধই কর না কেন, তৃণমূল করলে সব মাফ৷ তৃণমূলের লোকজন এই কাজ করায় স্থানীয় পুলিশ কিংবা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারছে না৷ এনিয়ে তাঁরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া জানান, গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূল সব বিক্রি করে দিচ্ছে৷ পারলে ওরা আকাশটাও বিক্রি করে দেবে৷ শাসকলের লোক এই ঘটনায় জড়িত থাকায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments