top of page

অনুপস্থিতির কারণে বন সহায়ককে মারধরের অভিযোগ মালদায়

মাসখানেক আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ সুস্থ হতে অনেক সময় লেগেছিল৷ দুর্বলতা তখনও কাটেনি৷ তাই একদিন অফিস যেতে পারেননি৷ তার খেসারত দিতে হয়েছে এক অস্থায়ী বন সহায়ককে৷ অনুপস্থিতির জন্য অফিসের মধ্যেই ওই বন সহায়ককে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন ফরেস্ট বিট অফিসার৷ ওই বন সহায়ক এখনও মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন৷ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলে৷ একইসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা৷ তবে ওই ফরেস্ট বিট অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বন সহায়কের স্ত্রী৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে খোদ মালদা শহরে৷


আক্রান্ত বন সহায়কের নাম সুকুমার মণ্ডল৷ তাঁর বাড়ি মানিকচক থানার রামনগর জোতপাট্টা গ্রামে৷ ইংরেজবাজার থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল জানিয়েছেন, নভেম্বরে তাঁর স্বামী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন৷ তিনি মালদা ফরেস্ট রেঞ্জের হালনা বিটে কর্মরত৷ অসুস্থতার জন্য তিনি একদিন অফিসে যেতে পারেননি৷ ২৩ নভেম্বর বিট অফিসার ফোন করে তাঁর স্বামীকে অফিসে ডেকে পাঠান৷ বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর স্বামী অফিসে যান৷ বিট অফিসার স্বামীর কাছে একদিনের অনুপস্থিতির কৈফিয়ৎ চেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন৷ এর প্রতিবাদ করতেই তিনি তাঁর স্বামীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন৷ দুর্বল শরীর অত মার সহ্য করতে পারেনি৷ তাঁর স্বামী অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন৷ অফিসের কর্মীরা তাঁকে ফোন করে ঘটনাটি জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে চলে যান৷ স্বামীকে তড়িঘড়ি কোয়ার্টারে নিয়ে আসেন৷ স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর স্বামীকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেন৷ এখনও তিনি মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন৷ স্বামীর অসুস্থতার জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে তাঁর কয়েকদিন দেরি হয়েছে৷



এদিকে সুকুমারবাবুর বক্তব্য,

“২১ নভেম্বর আমার নাইট ডিউটি ছিল৷ ডিউটি করে ২২ তারিখ সকালে আমি বাড়ি যাই৷ সেদিন সকাল ১০টা নাগাদ অফিসার ফোনে আমাকে গালাগালি শুরু করেন৷ তাঁকে বলি, আমার শরীর ভালো নয়৷ তিনি আমাকে সেদিনই বিট অফিসে তলব করেন৷ আমি জানাই, শরীর প্রচণ্ড খারাপ থাকায় আমি আগামীকাল অফিস যাব৷ ২৩ তারিখ বিকেলে স্ত্রীকে নিয়েই আমি অফিসে যাই৷ স্ত্রীকে বাইরে রেখে অফিসে ঢুকি৷ বিট অফিসার প্রদীপকুমার গোস্বামী আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন৷ এরপর আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারেন৷ আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি৷ পরে আমাকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়৷ প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ আমি তাঁর শাস্তি চাই৷”

একাধিকবার ফোন করা হলেও তোলেননি অভিযুক্ত প্রদীপকুমার গোস্বামী৷ ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার জিজু জেসপারও ‘নো কমেন্টস’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page