পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহ। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত নেতারা।
আক্রান্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মোহম্মদ নজিবুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ, ব্লক সভাপতি থাকাকালীন পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নজিবুর সাহেবের থেকে কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হজরত আলি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমাউন ইসলাম। সেই টাকা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। গতকাল রবিবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাংরুয়া গ্রামে উরুষ মেলা থেকে ফিরছিলেন নজিবুর রহমান। অভিযোগ, সেই সময় মাঝ রাস্তায় তাকে আটকে দেয় হজরত আলির ও সামাউন ইসলামের দলবল। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় নজিবুর সাহেবকে। বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
মোহম্মদ নজিবুর রহমান বলেন,
হজরত আলির দুই ছেলে এবং কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সামাউন ইসলামের দলবল মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে মারধর করেছে। হজরত আলি পদ দেওয়ার জন্য তাঁর থেকে কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হজরত আলি বলেন, দুর্নীতির জন্য প্রধানের পদ হারিয়েছেন উনি। তা নিয়ে ওনার রাগ। প্রাক্তন প্রধানের থেকে তিনি কোনও টাকা নেননি তিনি। পদ হারিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ভুলভাল কথা বলছেন, অভিযোগ করছেন প্রাক্তন প্রধান।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments