বধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ মালদায়
আরজিকর মেডিকেলের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে পথে নামছেন সাত থেকে সত্তর। এরই মধ্যে পারিবারিক বিবাদের জেরে মালদার এক প্রত্যন্ত গ্রামে এক বধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল। এনিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ। সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া এমনকি বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নাকি এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল কর্মী। জেলার প্রথম সারির এক নেতার ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি। নিগৃহীতা বধূর স্বামীর অভিযোগ, সামান্য আবর্জনা ফেলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। গত ৫ সেপ্টেম্বর এনিয়ে দুই জায়ের মধ্যে ঝামেলা বাধে। সেই সময় নিগৃহীতা বধূকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন ফের জায়ের ভাই ও বাবা বাড়িতে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে বধূকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই বধূ। সেই খবর পেয়ে সেদিন সন্ধেয় তিন দুষ্কৃতী বাড়িতে চড়াও হয়ে, ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে৷ অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আরজিকরের মতো পরিণতি হওয়ার হুমকিও দেয় তারা। গতকাল ফের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা বধূ৷ তবে এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
নিগৃহীতা বধূ জানান, পারিবারিক ঝামেলার জেরে ৬ তারিখ ঘরে ঢুকে ওরা আমার শ্লীলতাহানি করেছে৷ হুমকি দিয়েছে, আমাকে ধর্ষণ করবে৷ আমার অবস্থা আরজিকরের মতো করে দেবে৷ পরদিন ফের তিনজন আমার বাড়িতে এসে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে৷ বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে৷ আমার চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে ওরা চলে যায়৷ আমার জায়ের ভাই তৃণমূলের প্রভাবশালী কর্মী৷ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ব্লক তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে, অভিযোগ সত্য হলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হবে। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তারা তৃণমূলের কর্মী কিংবা নেতা হলেও তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments