আধার লিংকে কাটমানি, অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরে
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের অন্তর্গত রশিদাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও এই অঞ্চলের জনমদোল মোল্লাবাড়ির বুথের সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলা আবাস যোজনা বাড়ির লিস্টে আধার লিংক করাতে কাটমানির নেওয়ার অভিযোগে বিডিও ও এসডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন এই বুথের সদস্য একরামুল হক ও পঞ্চায়েত প্রধান পুষ্প রবিদাস।
এক অভিযোগকারী সাহানারা পারভিন জানান, বাংলা আবাস যোজনা লিস্টে নাম এসেছে শুনতে পেয়ে মেম্বারের কাছে আধার লিংক করার কথা বলতেই মেম্বার তাঁর কাছে তিন হাজার টাকা কাটমানি চান। টাকা না দিতে পারলে তাঁর আধার লিংক হবে না বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয় মেম্বার। সমস্ত ঘটনা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালে, প্রধানও তাকে একই কথা বলেন। এদিকে, সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়াতে আধার লিংক না করতে পেরে তিনি বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা আলম ও সলিমুদ্দিন। তাঁরা বলেন, আবাস যোজনার লিস্টে নাম আসা সত্ত্বেও আমাদের আধার লিংক করা হয়নি। এখন তো আধার লিংক করার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। আমাদের আধার লিংক কেন করা হল না, সেই অভিযোগ নিয়ে আমরা বিডিও দ্বারস্থ হয়েছি।
এবিষয়ে গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য একরামুল হক জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আলম ও সলিমুদ্দিনের লিস্টে নাম আসতে পারে। কিন্তু তারা বাড়ি আগেই পেয়ে গেছে, তাদের আগেই আধার লিংক করা ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
[ আরও খবরঃ গঙ্গায় মিশে যেতে পারে ফুলহর, বাজছে বিপদ ঘণ্টা ]
পঞ্চায়েত প্রধান পুষ্প রবিদাস জানান, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কাছে এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। আমাকে ও আমার পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যকে বিরোধীরা চক্রান্ত করে বদনাম করার চেষ্টা করছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments