পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ে গোপন বৈঠক তৃণমূল প্রার্থীর, অভিযোগে সরব বিদায়ী সাংসদ
নির্বাচনে জিততে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে গোপনে হোটেলে বৈঠকে করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পুলিশ ও প্রশাসন শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দুপুরে খগেন মুর্মু সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, উত্তর মালদা কেন্দ্রে তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তিনি আগে এই জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন৷ মালদা রেঞ্জের ডিআইজিও ছিলেন৷ তিনি নিজের পুরোনো চেয়ারের ক্ষমতাকে ভোটে ব্যবহার করতে চাইছেন। জেলার পুলিশসুপার ও থানার আইসিদের নিয়ে হোটেলে বৈঠকও করেছেন তিনি। এর আগেও পুলইশ ও প্রশাসনকে শাসকদলকে ভোট লুট করতে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে। এই সমস্ত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই তথ্য প্রমাণ সহ নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানিয়েছি৷ কমিশনের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে৷
খগেন মুর্মুর এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মানুষ ভয় পেলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে থাকেন। মানুষ বলছেন, উনি সাংসদ থাকাকালীন মানুষের জন্য কোনো কাজ করেননি। উনি নিজেও নিজের পরাজয়ের আভাস পেয়েছেন। সেই থেকেই উনি হতাশ হয়ে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। তাছাড়া আমি যখন কোথাও যাই, সংবাদমাধ্যমের একটা বড়ো অংশ আমার সঙ্গে থাকে। আমি ওনাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেব।
এদিকে, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিদায়ী সাংসদ কোনো কাজ করেননি বলে অভিযোগ করছেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই সমস্ত অভিযোগের জবাব হিসেবে পাঁচ বছরের কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, গত পাঁচ বছরে অনেক চেষ্টা করেও রাজ্যের অসহযোগিতায় বেশ কিছু কাজ করতে পারেননি তিনি৷ তার মধ্যে অন্যতম গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments