top of page

ভোটের আগে সাহায্যর বদলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

অসহায় এই ছাত্রীর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপরেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দশম শ্রেণির ছাত্রীর পাশে। অনেকেই দাবি করেছেন ভোটের মুখে ওই ছাত্রীর পাশে এসে দাঁড়াবে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু ভোটের মরশুমে পুরো উলটো ছবি। সাহায্য প্রার্থনা করায় ওই ছাত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।


হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা দুলি খাতুন। বহুদিন আগে বাবা তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মাস ছয়েক আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মা মারা গিয়েছেন। একমাত্র দাদা বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। এই অবস্থায় অভিভাবকহীন দশম শ্রেণির ছাত্রী দুলি খাতুন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিল। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই। এরই মধ্যে শাসকদলের সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার ভয়ানক অভিযোগ তুলেছেন দুলি। আজ দুলির সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল।



দুলি বলেন, সংবাদমাধ্যমে আমার সমস্যার কথা তুলে ধরা হতেই সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু সাহায্য নেওয়ার জন্য শাসকদলের কিছু লোকজন এখন তাকে হুমকি দিচ্ছে। প্রাণভয়ে তিনি বাড়িতে দাদুকে ডেকে এনেছেন। বাড়িতে থাকতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি।


দুলির দাদু মোহম্মদ খলিল জানান, বাবা-মায়ের অবর্তমানে নাতনি এখানে একাই থাকে। তিনি বেশ কিছুটা দূরে থাকলেও যতটা সম্ভব সাহায্য করেন। কিন্তু বর্তমানে নাতনি আতঙ্কে রয়েছে। কিছুদিন আগে ওর খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপর এলাকার বিভিন্ন লোকরা হুমকি দিতে থাকে। ওদের বক্তব্য, কেন নাতনি নিজের দুরবস্থার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।




বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর রাম জানান, আমরা দুলি খাতুনের সঙ্গে কথা বললাম। শুনতে পেলাম এলাকার শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা ওকে ভয় দেখাচ্ছে। এটা খুব নিন্দনীয় ব্যাপার। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ওর পাশে সব সময় রয়েছি। ওর পড়াশোনা, থাকা-খাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সব ব্যবস্থা করব।


এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী তাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, তিনি এধরনের কোনও ঘটনা তিনি শোনেননি। বিষয়টি তিনি খোঁজ নেবেন।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

תגובות


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page