জোট রাজনীতি আমাদের কাছে নতুন নয় বললেন সেলিম
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এদিন মালদায় আসেন জেলা কমিটির সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন ‘ভদ্রলোকের চুক্তিতে জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না৷’ বৈঠক শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের জেলা কমিটির এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপুর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
দেশ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে৷ একই সঙ্গে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হটাতে হবে৷
রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম এদিন বলেন, ‘গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব নয়৷ আবার ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করে গণতন্ত্র রক্ষা করা যায় না৷’ আজ কলকাতায় বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে৷ সেই বৈঠকের পর বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু রণকৌশল ঘোষণা করবেন৷ তবে তাঁদের লক্ষ্য, দেশ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে৷ একই সঙ্গে এই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হটাতে হবে৷ বিজেপিকে সরাতে না পারলে দেশে যেমন একটা ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন সম্ভব নয়, তেমনই বিজেপির দোসর তৃণমূলকে রাজ্য থেকে না সরাতে পারলে পশ্চিমবঙ্গকেও রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ এরা ভাষা ও জনগোষ্ঠীর নামে বিভাজন তৈরি করছে৷ এরা সব শেষ করে দিচ্ছে৷
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে কোন আসন কে কাকে ছাড়বে তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে৷ কমিউনিস্ট পার্টির নিজস্ব একটি স্ট্র্যাটেজি রয়েছে৷ সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ীই নির্বাচনি রণকৌশল ঠিক করা হবে৷ এনিয়ে সেলিমের মন্তব্য, ‘৫০ দশকের খাদ্য আন্দোলনের সময় থেকে আমরা ১৭টি দল জোট করে চলছি৷ তাই জোট রাজনীতি আমাদের কাছে নতুন নয়৷ তখন আমাদের সবাই খিচুড়ি বলত৷ আর এখন ইউপিএ, এনডিএ জোট তৈরি হয়েছে৷ আমাদের জোটে অনেক সহযোগী দলও রয়েছে৷ তার মধ্যে কংগ্রেসেরও ভূমিকা রয়েছে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভালো ফল করেছিলাম৷ সেই নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূলের টেবিলের তলায় জোট না হলে এরা ক্ষমতায় আসত না৷ মাত্র ২ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এরা ক্ষমতায় এসেছে৷ তবে আসন্ন নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা রয়েছে৷ এনিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি, পলিটব্যুরো সহ বামফ্রন্টে আলোচনা হয়েছে৷ আজই আমাদের রণকৌশল ঘোষণা করবেন বাম চেয়ারম্যান৷ তবে ভদ্রলোকের চুক্তি হল জেতা আসন ছেড়ে দেওয়া৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে আমরা অনেক আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিলাম৷ তবে ইসলামপুরে ওরা জোর করে প্রার্থী দেয়৷ এটা একটা এঁড়েপনা৷ এখন রায়গঞ্জ শহর ছাড়া ওই জেলায় কংগ্রেসের তেমন সংগঠন নেই৷ দাড়িভিটের ঘটনার পর ওরা একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি৷"
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments