রায়দের প্রাচীন লক্ষ্মীপুজোয় এবছর মেলার মেয়াদ কমল
দুর্গাপুজোর পরে করোনার থাবা শতাব্দী প্রাচীন লক্ষ্মীপুজোয়। মালদা শহরের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ার এই পুজো প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে এবছর করোনার প্রভাবে নমো নমো করে পুজোর আয়োজন হচ্ছে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে মেলা বসেছে একদিনের।
ইংরেজবাজারের কোঠাবাড়ি চুনিয়াপাড়ায় প্রায় ১০০ বছর ধরে হয়ে আসছে জেলার সর্ববৃহৎ লক্ষ্মীপুজো। এখানে লক্ষ্মীর সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, অন্নপূর্ণা, ব্রহ্মা, নারায়ণ, শিব এবং রাম-লক্ষণ পূজিত হয়ে থাকেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন ক্ষিতিশচন্দ্র রায়। সেই সময় থেকে রীতি মেনে আজও হয়ে আসছে এই পুজো। পুজো উপলক্ষ্যে এলাকায় পাঁচদিন মেলা বসে। বিসর্জনের দিন নৌকায় করে দেবী লক্ষ্মীকে পুরাতন মালদার সদরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও মেলা বসে। আবার কোঠাবাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দেবীকে। পর মহানন্দা নদীতে দেবীর বিসর্জন পর্ব সারা হয়।
[ আরও খবরঃ দুই লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার জেলায় ]
রায় পরিবারের অন্যতম সদস্য বিশ্বনাথ রায় জানান, স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর শুরু হয়েছিল। প্রাচীন সেই পরম্পরা মেনেই আজও এই পুজো চলছে। তবে এবছর করোনার প্রভাবে কিছুটা হলেও প্রাচুর্য কমেছে। এবছর এই প্রতিমা তৈরি করছেন জ্যোতির্ময় পাল। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বংশপরম্পরায় এই প্রতিমা তৈরি করছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments