বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার স্বপ্ন
আর্থিক অভাব মেটাতে গরমের ছুটিতে বন্ধুর সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন ইউনুস। বাড়ি ফিরে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি করার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়া কোনোটাই হল না ১৮ বছরের এই যুবকের। বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হলেও প্রাণ বাঁচানো যায়নি তাঁর। ইউনুসের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
ইংরেজবাজারের যদুপুর-১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের কমলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ইউনুস। মাধ্যমিক পাশ করার পর কমলাবাড়ি হাইস্কুলে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। আর্থিক অভাব থাকলেও অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে চেয়েছিল সে। গরমের ছুটিতে পরিবারের আর্থিক অভাব খানিকটা মেটাতে মাস খানেক আগে বন্ধুর সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন ইউনুস। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
ইউনুসের বাবা সাজ্জাদ আলি জানান,
পরিবারের আর্থিক অভাব মেটাতে একমাসের জন্য ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিল ইউনুস। আমাদের ভিনরাজ্যে যেতে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ছেলের জেদের সামনে হার মেনে ওকে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে দিয়েছিলাম। একমাসও হয়নি ওর বাইরে যাওয়া৷ ওখান থেকে ফিরে আসছিল৷ যে ট্রেনে ওরা বাড়ি ফিরছিল, সেটা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে৷ জানতে পারি, ছেলেকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ পরে বিডিও বাড়িতে এসে জানান, ছেলে নাকি মারা গিয়েছে৷ আগামী বছর ওর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল৷
ঘটনার জেরে কমলাবাড়ি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইউনুসের পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments