পঞ্চায়েতের মনোনয়নের আগেই সমস্যায় গেরুয়া শিবির
পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের পর কোন্দল বিজেপিতেও। দলের বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা৷ বিক্ষুব্ধদের তালিকায় রয়েছেন ১২ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদার রাজনৈতিক মহলে।
পুরাতন মালদার সাহাপুর অঞ্চলের বিজেপি নেতা নিতাই মণ্ডলকে কিছুদিন আগেই এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বহিস্কার করে গেরুয়া শিবিরের জেলা নেতৃত্ব। ওই এলাকায় বিজেপির সংগঠন তৈরিতে নিতাইবাবুর যথেষ্ট অবদান ছিল বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরোনো দলকে নিজের ক্ষমতা দেখাতে প্রস্তুত নিতাইবাবু। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন দলীয় প্রধান উকিল মণ্ডল৷ ২ জনের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই বিজেপির ১২ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে ডিসিআর কেটেছেন৷
নিতাই মণ্ডল জানান, শনিবার থেকেই ডিসিআর কাটতে শুরু করেছি৷ বহিষ্কৃত হলেও এখনও অন্তর দিয়ে বিজেপি করি৷ আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ অন্যদলে যোগদান করব না। বিজেপির মুখোশধারী তৃণমূলের লোকেদের বিরুদ্ধে আমার লড়াই। মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় সব অঞ্চলেই আসল আর মুখোশধারী বিজেপির মধ্যে লড়াই হবে৷ বিজেপির নির্বাচিত বহু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও নির্দল হিসাবে ডিসিআর কেটেছেন৷
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপস গুপ্ত জানান,
এই পঞ্চায়েত নির্বাচন যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে বিজেপি মনোভাবাসম্পন্ন কেউ যদি নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে ভোট নিশ্চিতভাবে ভাগাভাগি হবে। এনিয়ে দলীয় পর্যায়ে আমরা আলোচনা করছি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Commentaires