পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে দিল্লিতে বিক্ষোভ বিজেপি সাংসদদের
বামনগোলার পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়েছে। সেই ঘটনায় রেশ পৌঁছল দিল্লিতেও। আজ লোকসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এই ঘটনা নিয়ে গান্ধি মূর্তির সামনে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি সাংসদরা।
নারী নির্যাতনের এই ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে বেশ শোরগোল পড়েছে। বেশ কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ নিয়ে পুরো ঘটনা যেন গোলমেলে হয়ে রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, গত ১৬ জুলাই বিজেপি কর্মী বুরান মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরদিন বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও বামনগোলা ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। দুটি ঘটনায় পুলিশ সুয়োমোটো মামলা রুজু করে। রাজ্য সড়ক অবরোধের ঘটনায় পুলিশের তরফে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক জয়েল মুর্মু সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা বর্তমানে জেল হেপাজতে রয়েছেন। এদিকে, গত মঙ্গলবার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন পর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পুলিশের তরফে এই ঘটনাতেও সুয়োমোটো মামলা করা হয়। দেখা যায়, নির্যাতিত দুই মহিলাকে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে। এরপরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
দিল্লিতে লোকসভা অধিবেশনে যাওয়ার আগে খগেন মুর্মু জানান,
পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে যখন নির্যাতন করা হচ্ছিল, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিল পুলিশ৷ মাত্র ১০০ মিটার দূরে ফাঁড়ি থাকলেও পুলিশ দুই মহিলাকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি৷ উলটে ২ ঘণ্টা ধরে নির্যাতিত দুই মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় ফাঁড়িতে বসিয়ে রেখে নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের মিথ্যে মামলায় তাঁদের নাম জড়িয়েছে। ওই ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজ্যের সব বিজেপি সাংসদরা গান্ধি মূর্তির তলদেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংসদকেই পালটা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। তিনি জানান, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন৷ নিজের এলাকায় কোনও উন্নয়ন না করে ভোটের আগে প্রচারে থাকতে চাইছেন৷ তাই হাটের মধ্যে চোর অপবাদে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছেন৷ বামনগোলার ওই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন৷ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Комментарии