গনির মাটিতে বিজেপি-মিম নিয়ে সতর্ক ববি
একুশের ভোটের আগে মালদায় দলীয় কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়ে গেলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ববি হাকিম ওরফে ফিরহাদ হাকিম। ববি যখন কর্মীসভায় কর্মীদের চাঙ্গা করছেন, তখন রাস্তায় নেমে দলের মহিলা শাখাকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মালদার মাটিতে এবারের লড়াইটা যে যথেষ্ট কঠিন, তা ববি হাকিমের কথাতেই স্পষ্ট। মুখে জেলার সব আসনে জয়ের কথা শোনালেও বাস্তবের কঠিন পরিস্থিতি তাঁর অজানা নয়। গেল বার মালদায় খাতাই খুলতে পারেনি শাসকদল। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে এপর্যন্ত পরিস্থিতির অনেক বদল হয়েছে। মাঝে লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের শক্ত ভিত তৈরি হয়ে গিয়েছে গনির মালদায়। বৈষ্ণবনগর, হবিবপুরের পাশাপাশি গাজোল ও পুরাতন মালদাতেও পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা দেখছে শ্যামাপ্রসাদ ভবন। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির।
ববি হাকিম সরাসরিই বিজেপি নিয়ে মালদাবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, মালদার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা নেই। এই মাটি গনিখানের। আর গনিখান সারা জীবন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে। তাই বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, গৌড়ভূমে পদ্ম ফুটবে না। কারণ এই জেলার মানুষ উন্নয়ন চান। আর উন্নয়ন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করছেন। বিজেপির সঙ্গেই মিম নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ববি হাকিম। মিম ও বিজেপি যে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, তা বোঝাতে ভোলেননি তিনি।
[ আরও খবরঃ সংক্রমণ এড়াতে থাকছে অতিরিক্ত সহায়ক বুথ ]
একসময় শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা মালদার রাজনৈতিক সমীকরণ খুবই জটিল। ববি হাকিম বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে এসে বুঝেছিল, বাংলা দখল করতে না পারলে ভারত দখল হয় না৷ বাংলা দখল করতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিরাজ-উদ্দৌলাকে পরাস্ত করতে মীরজাফরের সাহায্য নিয়েছিল৷ এরাও বাংলা দখল করতে এসেছে৷ তাদের সাহায্য করতে এবারও কিছু মীরজাফর তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু বাংলার মানুষ বারবার সিরাজের মতো ধোঁকা খাবে না৷ এভাবে কার্যত শুভেন্দুকেই ঠুকেছেন ববি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments