কর্মহীন হয়ে মদ্যপানে আসক্তি, স্ত্রীকে মারধরে করে আত্মহত্যা বাসচালকের
লকডাউনে কাজ হারিয়ে মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বেসরকারি বাসচালক। গতকাল মদ্যপান করে পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা চলাকালীন স্ত্রীর মাথায় লোহার তালা দিয়ে আঘাত করে হাঁসুয়া নিয়ে স্ত্রী ছেলেমেয়ের পেছনে ধাওয়া করেন ওই বাসচালক। পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে, পুলিশের সঙ্গে বাড়ি ফিরে ওই বাসচালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের শোভানগর সংলগ্ন মাদিয়াঘাট গ্রামে৷
মৃত ব্যক্তির নাম লালবাহাদুর চৌধুরি (৫০)। লকডাউনে কাজ হারিয়ে মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মদ্যপানের কারণে পরিবারে প্রায় প্রতিদিনই ঝামেলা লেগে থাকত। অভিযোগ, গতকালও এনিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় স্ত্রীর মাথায় লোহার তালা দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ওই বাসচালক। পরে হাঁসুয়া নিয়ে স্ত্রী ছেলেমেয়ের পেছনে ধাওয়া করেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে৷ রাতেই তারা ছুটে যায় স্থানীয় মিলকি পুলিশ ফাঁড়িতে৷ পুলিশকর্মীরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘরে ঢুকে পুলিশকর্মী ও পরিবারের লোকজন লালবাহাদুরবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
[ আরও খবরঃ বায়না নেই তবু প্রতিমা গড়ছেন পটুয়া ]
লালবিহারীবাবুর ছেলে রিপেন চৌধুরি বলে, তিন মাস ধরে বাবার কাজ বন্ধ৷ মালিক টাকাপয়সা দেননি৷ জমানো টাকা সব শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ মানসিক অবসাদে মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। গতকাল রাতে বাবা প্রচুর মদ খেয়ে বাড়িতে আসেন৷ সেই সময় বোন বাড়িতে টিভি দেখছিল। বোনকে টিভি দেখতে দেখেই বকাবকি শুরু করে বাবা। বাবার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে লোহার তালা দিয়ে আঘাত করে মায়ের মাথা ফাটিয়ে দেন। তারপরে একটি ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে তিনি আমাদের তিনজনকে তাড়া করেন৷ মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
Commentaires