top of page

সাইকেলের স্পোকে যদি স্ত্রীর পা কেটে যায়! সাবধানী বিধায়ক

সাইকেল চালানো ছেড়ে ঘাসফুলের বীজ ছড়াচ্ছেন ইংরেজবাজার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। কারণ, মালদা শহরের সেই ঘোষ পরিবারে সাইকেল জমানার অবসান হয়েছে। এবার ঘাসফুল প্রতীক। এই ওয়ার্ডের মানুষকে নিজের প্রতীক চেনাতেই প্রথম বসন্তে ঘাম ঝরছে প্রার্থীর। তবে ওয়ার্ডকে হাতের তালুর মতো চেনেন তাঁর বিধায়ক স্বামী। তাই নিজের সংসদীয় এলাকা ছেড়ে এখন শহরেই পড়ে রয়েছেন তিনি।


Candidate-is-sweating-to-recognize-their-own-symbol
ঘোষ পরিবারে সাইকেল জমানার অবসান হয়েছে। এবার ঘাসফুল প্রতীক

ইংরেজবাজার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন নীহাররঞ্জন ঘোষ। প্রতিবারই তাঁর প্রতীক ছিল সাইকেল। একসময় বাম, পরে বাম-কংগ্রেসের সমর্থন ছিল তাঁর পিছনে। তাই ১৫ বছর ধরে ওয়ার্ডের মানুষ ইভিএমে সাইকেল চিহ্নটাই খুঁজে বেড়ান। তাঁর স্ত্রী গায়ত্রী ঘোষও এই পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। তবে গত নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তিনি। সেই সাইকেল প্রতীকেই।

একুশের ভোটে চাঁচল কেন্দ্রে ঘাসফুলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন নীহারবাবু। এবার পুর নির্বাচনে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে দলে গণ্য হয়নি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া ওয়ার্ডে দল প্রার্থী করেছে স্ত্রী গায়ত্রীকে। সেখানেই যেন কিছুটা গোল বেঁধেছে। এই ওয়ার্ডে এবার সাইকেল চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শাসকদলেরই নির্দল কাঁটা বুলু চৌধুরি। তাই ওয়ার্ডের ভোটারদের স্ত্রীর প্রতীক চেনাতে এখন দিন-রাত এক হয়েছে বিধায়কের। যদি নির্দল সাইকেলের স্পোকে স্ত্রীর পা কেটে যায়!

নীহারবাবু বলছেন,

‘আমি এবং আমার স্ত্রী, দু’জনেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছি। আমি বিধানসভা নির্বাচনেও নির্দল হিসাবে ইংরেজবাজার কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলাম। একুশের ভোটে অবশ্য তৃণমূলের টিকিটে চাঁচল কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছি। নির্দল হিসাবে দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থাকার সুবাদে দেখেছি, নির্দল জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বাংলার মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প তৈরি করেছেন, তিনি যেভাবে রাজ্যের উন্নয়ন করছেন, তাই মানুষের কাজ করতে হলে এখন তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। সেকারণেই এবার গায়ত্রী ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করছে। ঠিক আমি যেভাবে বিধানসভা ভোটে লড়েছি।’

২০০৫ সালে নির্দল কাউন্সিলর নীহারবাবু প্রথম দফায় ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০১৫ সালের ভোটেও নির্দল হিসাবে জিতে ২০১৭ সালে তিনি ফের চেয়ারম্যান হন। এবার পুরভোটের আগে তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, নির্দল চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি পুরসভায় কাজ করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার বামেদের সমর্থনে চেয়ারম্যান হই। সেই সময় পুরবোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। এখন রাজনীতি করতে গেলে কোনও দলের প্রতীক থাকা প্রয়োজন। নির্দল হিসাবে বিধায়ক হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ডেকে তাঁর হয়ে কাজ করতে বলেছিলেন। তারপর থেকেই আমি তাঁর সৈনিক।’

প্রচারপর্ব শেষ। এবার ভোটদানের পালা। স্ত্রীকে জেতাতে এই মাসখানেক সময় ধরে নীহারবাবু কী ঘুঁটি সাজিয়েছেন, তা আগামী ২ মার্চ বোঝা যাবে। কিন্তু এই শহরের মানুষ সম্ভবত আর ঘোষ পরিবারের কোনও সদস্যকে সাইকেল প্রতীকে ভোটে দাঁড়াতে দেখবেন না।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page