অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চাঁচল কলেজে
একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপির সদস্যরা। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তুলে দেওয়া হয়।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দাবি, চাঁচল কলেজের প্রথম বর্ষের সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর দিতে হবে। কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে পাস কোর্সে ভরতি হয়েছিল। পরে অনার্সে নাম ওঠায় ফের তাঁরা অনার্সে ভরতি হয়েছিল। দুইবার ভরতির জন্য জমা দেওয়া টাকা ছাত্রছাত্রীদের ফেরত দিতে হবে। কলেজে এনসিসি চালু করা সহ আরও বেশ কিছু দাবি সংগঠনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। আজ চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড: নুরুল ইসলামকে দীর্ঘক্ষণ ঘরে ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সদস্যরা। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে তুলে দেওয়া হয়।
অধ্যক্ষ ড: নুরুল ইসলাম জানান, ভরতি সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বেশ কিছু ছাত্র আমার কাছে এসেছে। আমি জানতে পেরেছি, এখনও অনেক ছেলেমেয়ে কলেজে ভরতি হতে চায়। পাশাপাশি পাশ কোর্সে ভরতি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা অনার্স কোর্সে যেতে চায়, তাঁদের অনার্স কোর্সে পড়ার জন্য নির্ধারিত নম্বর রয়েছে। কলেজে বেশ কিছু সিট খালি থাকলেও এখনও সরকারি কোনো নির্দেশিকা পাওয়া যায় নি। তাই ১৫ ডিসেম্বরের পর পাশ ও অনার্স কোর্সে নতুন করে ভরতি নেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া তাঁদের আরেকটি দাবি হল, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কিছু ছাত্রছাত্রী প্রথমে পাশ কোর্সে ভরতি হলেও তাঁরা পরে অনার্স কোর্সে ভরতি হয়েছে। তাঁদের দ্বিতীয়বার ভরতির জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি আগেই জানিয়েছিলাম এই বিষয়ে যথাযথ আবেদন করলেই সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কলেজে পুনরায় এনসিসি চালু করার বিষয়েও একটি দাবি এসেছে। এনসিসি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে, কলেজে খুব তাড়াতাড়ি এনসিসি চালু হয়ে যাবে। ছাত্রছাত্রীদের শেষ দাবি ছিল, কলেজের ইন্টারনাল মার্কস ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না, ফলে অন্যান্য কলেজের তুলনায় নম্বর কম হচ্ছে এখানে। ছাত্রছাত্রীদের এই দাবিগুলিকে ন্যায়সঙ্গত মেনে নিয়ে সমস্যাগুলি মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments