প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বিতর্কে সালিশি সভা
শোওয়ার ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচল থানার নয়নপুর-গৌরীপুর এলাকায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত ওই যুবকের নাম বাসুদেব মহলদার (২০)। বাসুদেব পেশায় ট্রাক্টর চালক ছিলেন। পরিবারের দাবি, এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে বাসুদেবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিশোরীর পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি। সেই কারণে বাসুদেব ও ওই কিশোরী বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ এলাকার একটি গ্রাম থেকে তাদের ধরে ফেলে মেয়ের বাড়ির লোকজনেরা। মেয়ে নাবালিকা, প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে যুবককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি, ওই কিশোরীর গ্রামে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানে এই ঘটনার জন্য যুবককে দায়ী করে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ। সালিশি সভায় মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর জন্যই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বাসুদেব, এমনটাই দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে, এই ঘটনার পরে পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানাচ্ছে চাঁচলের বুদ্ধিজীবী মহল। চাঁচলের এক আইনজীবী সুবেশ মিত্র বলেন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা অনেক উন্নত। অথচ গ্রামের মোড়ল-মাতব্বররা সালিশি সভা করে টাকা তুলে সেই টাকা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Hozzászólások