সরকারি বিল বাঁচাতে ময়দানে গ্রামবাসী, হাতাহাতিতে আক্রান্ত জনপ্রতিনিধি
top of page

সরকারি বিল বাঁচাতে ময়দানে গ্রামবাসী, হাতাহাতিতে আক্রান্ত জনপ্রতিনিধি

সরকারি বিল অন্যের নামে রেকর্ডের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে। বিল বাঁচাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ গ্রামবাসীরা। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে গিয়ে আধিকারিকদের সামনেই দুপক্ষের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন জন প্রতিনিধিও। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা গ্রামে৷


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গররা এলাকায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সরকারি বিল রয়েছে। স্থানীয় লোকজন এই বিল থেকে জল সংগ্রহ করেন। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন, সরকারি ওই বিল কয়েকজনের নামে পাট্টা রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। এরপরেই গ্রামবাসীরা মহকুমাশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আসেন দপ্তরের আধিকারিকরা। বিলের মাপজোক শুরু হতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে দখলদারদের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়৷


গ্রামবাসী দিলশাদ রাজা জানান, এই বিলের আয়তন প্রায় ১৫ বিঘা৷ রেকর্ডেও পাঁচ একর উল্লেখ রয়েছে৷ এটা ১ নম্বর খতিয়ানের জমি৷ ২৫ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা জানেন, এটা সরকারি বিল৷ চারটি গ্রামের লোকজন এখানে পাট পচাত৷ বিলের জল দিয়ে জমিতে চাষাবাদ করত৷ গত বছর থেকে পাশের গ্রামের কিছু লোক বলছে, এই জমি নাকি তারা পাট্টা করে নিয়েছে৷ সরকার নাকি এই জমি তাদের পাট্টা দিয়েছে৷ আমরা জানতে চাই, সরকারি নদী কীভাবে পাট্টা দেওয়া হয়? গত বছর থেকে এরা এই বিলে মাছ মারা কিংবা জল নেওয়াতে বাধা দিচ্ছে৷ পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আজ কিছু হয়নি৷ আমরা গোটা ঘটনা জানিয়ে চাঁচলের এসডিও’র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।



তদন্তে আসা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রেভিনিউ ইন্সপেকটর সেরাজুল ইসলাম জানান, জমির নকশায় এখানে বিল বলে উল্লেখ রয়েছে৷ সেটারই তদন্ত করতে এসেছিলাম৷ বিলের কিছুটা অংশ পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ তবে আমার কাজে যোগ দেওয়ার আগেই সেটা করা হয়েছে৷ বিলের কিছু জমি ১ নম্বর খতিয়ানে ভেস্ট দেখাচ্ছে৷

এলাকার তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য রতন সাহা জানান, ভূমি দফতর থেকে লোকজন আসার খবর পেয়ে আমি এখানে আসি৷ দু’পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করি৷ কিন্তু ওদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়৷ আমি সেই ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করছিলাম৷ তখন আমাকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page