চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া থানা এলাকায়।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম স্নেহাশিস পাল। সামসী এগ্রিল হাইস্কুলের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক স্নেহাশিসবাবু। রতুয়া থানায় স্নেহাশিসবাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষিকা রানু মণ্ডল। রানুদেবী অভিযোগ করেন, তাঁর এক আত্মীয়কে স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নামে স্নেহাশিস পাল তাঁর থেকে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন৷ স্নেহাশিসবাবুর ওপর ভরসা করেই তিনি তাঁকে আত্মীয়র চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও স্নেহাশিসবাবু এখনও চাকরি করে দিতে পারেননি৷ তাই তিনি স্নেহাশিসবাবুর থেকে টাকা ফেরত চান। স্নেহাশিসবাবু তাঁকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ফেরত দেন৷ কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন স্নেহাশিসবাবু৷ অবশেষে গত ১৭ এপ্রিল এনিয়ে তিনি রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷
স্নেহাশিসবাবুর দাবি, ব্যক্তিগত কিছু প্রয়োজনে ২০২১ সালে স্কুলেরই সহশিক্ষিকা রানু মণ্ডলের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি৷ সেই ধারের কিছু টাকা তিনি পরিশোধও করেছেন। সেই প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে রাজীব নামে এক ব্যক্তি রানু মণ্ডলের হয়ে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে৷ মোটা টাকা দাবি করছে৷ মাস দুয়েক আগে এনিয়ে মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি৷ তারপর থেকে আর কোনো দাবি-দাওয়া আসেনি। রানুদেবী পুলিশে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ তিনি চাকরি দেওয়ার নামে কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি৷ পুলিশি তদন্তে সমস্ত সত্য উঠে আসবে।
চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল জানান, এনিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments