মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ওরা
ওখানে তো আর ফিরতে পারব না। যুদ্ধের যা পরিস্থিতি, সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।
কথাগুলো বলছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের পারভেজ মাসুম হামিদ। ইউক্রেন থেকে মাঝপথেই পড়া ছেড়ে আসতে হয়েছে মাসুমকে। এখন একটাই চিন্তা, ডাক্তারির পড়াটা কীভাবে শেষ করব! তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছি। ও দেশে যে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, সে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, যে আমাদের ইয়ার ল্যাপস হবে না। আমি খুব খুশি। সত্যিই খুব প্রাউড ফিল করছি যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য এত কিছু করছেন।
মাসুমের মতোই কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন মালদার ১২ জন ছেলেমেয়ে। তাঁরা প্রত্যেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন। ইংরেজবাজারের মেয়ে মৌমী সিংহও ইউক্রেনে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে মৌমীর সেই স্বপ্ন মাঝপথেই থমকে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর অনেকটাই আশাবাদী মৌমী।
ওদের কেউ কিয়েভ, কেউ খারকিভ, কেউ বা ভিনিতসায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে। সাজানো গোছানো শহরগুলোয় বিশাল বিশাল মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া ভালোই হচ্ছিল। আচমকা যুদ্ধ এভাবে সব ওলট-পালট করে দেবে তা বুঝতেই পারেননি কেউ।
মাসুম জানিয়েছেন,
মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পড়ার খরচ বহন করার কথাও বলেছেন। রাজ্য সরকার স্কলারশিপ হিসেবে টাকাটা দেবে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আশাবাদী, ডাক্তার হতে পারব। আর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে পারব।
[ আরও খবরঃ মেয়ের বিয়ের আগে কাকার হাতে খুন বাবা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios