ইটের মাটি, ধূপকাঠির মশলা হাতে ‘শিশু দিবস’
সারা দেশ যখন শিশু দিবসে মেতে উঠেছে তখনও কেউ ইট তৈরিতে কিংবা ধূপকাঠি তৈরিতে ব্যস্ত। বয়সটা ছয়, সাত বছর। শিশু দিবসের মানে না বুঝলেও পেটের টানটা বুঝতে শিখেছে ওরা। তবে ওরা পড়াশোনাও করে। অনিয়মিত স্কুলে যায়। এভাবেই গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের এক প্রজন্ম।
মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিক মনোজ দাস জানান, আমাদের বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। বর্ষার পর স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের নিয়ে ইট তৈরির কাজে চলে এসেছি। আমাদের ছেলেরাও ইট বানাতে শিখে ফেলেছে। যখন দেশের বাড়িতে থাকি তখন ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। স্কুলে যায়। যখন এখানে কাজে আসি, তখন বাচ্চারাও ইট তৈরির কাজে সাহায্য করে। সকলে মিলে কাজ না করলে সংসার চালানো যাবে না।
সাত বছরের ওই ছেলেটার মতো কাজ করতে শুরু হয়েছে পুরাতন মালদার পালপাড়ার দুই বোনও। ধূপকাঠির তৈরিতে ইতিমধ্যে তারা হাত পাকিয়ে ফেলেছে। তাঁদের মা আদরি বিবি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধূপকাঠি তৈরির কাজ করি। আমার দুই মেয়েও কাজ শিখে ফেলেছে। একজন ক্লাস নাইন, অন্যজন ক্লাস ফাইভে পড়ে। আজ দুজনের কেই স্কুলে যায়নি। বাড়িতে বসে প্রোজেক্ট করবে। পড়ার সময় পড়ে, বাকি সময়ে ওরাও আমাদের সঙ্গে ধূপকাঠি তৈরির কাজ করে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments