top of page

কালিয়াচকে করিডরে নজর চিনের

কোনও রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড সেই দেশের অর্থনীতি। তাই মেরুদণ্ড ভাঙতে হলে অর্থনীতিতে আঘাত হানো। ভারত বিরোধী কুচক্রীদের মূলমন্ত্র এটাই। এই মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই ভারতে জাল ছড়িয়েছে চিনা যুবক হান। ৩৬ বছরের হানকে দেখলে বোঝা সম্ভব নয় যে সে আসলে চিনের সিক্রেট এজেন্ট। ধবধবে ফরসা হানের গুপ্তচর চক্র ভারতের অনেক গভীরে পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।


China focus on Kaliachak corridor
৩৬ বছরের হানকে দেখলে বোঝা সম্ভব নয় যে সে আসলে চিনের সিক্রেট এজেন্ট

বিজনেস ভিসা নিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে নানা কুকর্ম চালিয়ে গিয়েছে চিনের হুবেইয়ের বাসিন্দা হান। বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচকের কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে এই চিনা গুপ্তচর। তবে বিএসএফের নজর এড়িয়ে ভারতে ঢুকতে পারেনি হান। তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন জওয়ানরা। প্রথমে মান্দারিন ছাড়া আর কোনও ভাষা জানা নেই এমন নাটক চালাচ্ছিল এই চিনা যুবক। কিন্তু আসলে ইংরাজি সহ একাধিক ভাষায় পারদর্শী ঠাণ্ডা মাথার ক্রিমিনাল। তার সঙ্গে চিনা গুপ্তচরদের একটা র‍্যাকেট গোটা দেশে কাজ করছিল। হানের সঙ্গী সান ভারত থেকে ১৩০০ কাঁচা সিমকার্ড হানকে দিয়েছে। সেসব চিনে পাচার করে দিয়েছে হান।


কী হবে এত সিম দিয়ে? প্রশ্নটা স্বাভাবিক।


এই সব সিম ব্যবহার করে ভারতের ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার হানা দেয় চিনা হ্যাকাররা। ভারতীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে দেয়। তাছাড়া ভুয়ো নাম, ঠিকানা দিয়ে তোলা সিমকার্ড ব্যবহার করে গুপ্তচরবৃত্তি চালাত হান-সানরা। ভারতীয় গোয়েন্দারা চিনা গুপ্তচরদের জাল কতদূর ছড়িয়ে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। হানের ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ হাতড়ে তথ্য তালাস করছেন গোয়েন্দারা।




কিন্তু মালদার কালিয়াচক সীমান্তকেই কেন বেছে নিল হানের মতো চিনা গুপ্তচর?


কালিয়াচক সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই জাল নোট পাচারকারীদের করিডর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাঁটাতারের ওপর দিয়ে জাল নোটের বাণ্ডিল ছুড়ে দেয় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। সীমান্তের ওপারে চাঁপাই নবাবগঞ্জে ভারতীয় জাল নোট ছাপাবার কারখানা যে পাকিস্তানের মদতে চলছে, তার প্রমাণ আছে ভারতের হাতে। সেই জাল নোট ভারতে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর করার চক্রান্ত করে পাকিস্তান। এই খবর চিনের অজানা নয়। চিনা গুপ্তচর হানও কালিয়াচক করিডর সম্পর্কে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেছিল। না হলে সীমান্তের কোথায় কাঁটাতার নেই, তা জানা সম্ভব ছিল না হানের পক্ষে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যায় হান। এখন বাকি কমরেডদের খোঁজ চালাচ্ছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentarios


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page