top of page

ক্রোড়পতি হলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম। রবিবার সকালে ডিউটি জয়েন করতে যাওয়ার পথে একটি লটারির দোকান থেকে লটারির টিকিট কেনেন। সেইদিনই দুপুরে ফোনে জানতে পারেন লটারিতে এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। এই এক কোটি টাকা দিয়ে তিনি বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বাড়ি তৈরি করবেন আর দাদার মেয়েদের সমস্ত দায়দায়িত্ব নেবেন বলে জানালেন ফিরোজ আলম।



লটারির পুরস্কারে ক্রোড়পতি হওয়া হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলমের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক এলাকার আলীপুর গ্রামে। রবিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ডিউটি জয়েন করতে যাওয়ার পথে স্থানীয় শহীদ মোড়ের একটি লটারির দোকানে এক বন্ধুর সাথে লটারি কিনতে যান। সেখানে মোট দেড়শ টাকার লটারি টিকিট কেনেন তিনি। এরপর ফিরোজ চলে যান তুলসিহাটায় ডিউটির জন্য। সেইদিনই দুপুরে এক বন্ধু ফোন করে জানান, তিনি লটারিতে পুরস্কার পেয়েছেন। শুনে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরে চলে আসেন এবং লটারি টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন এক কোটি টাকা জিতেছেন প্রথম পুরস্কার হিসেবে। এরপরই তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় যোগাযোগ করেন এবং থানার অফিসারদের কাছে নিরাপত্তা চান। অন্যদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেখা যায় শহীদ মোড়ের লটারির দোকানটিতে লম্বা লাইন। লোকজনের লটারির টিকিট কেনার জন্য উৎসাহ প্রবল।


এক কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন জানতে চাইলে ফিরোজ জানান


"এই টাকা দিয়ে বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বাড়ি তৈরি করবেন আর দাদার মেয়েদের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচ এই টাকা থেকেই করতে চান"

লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার পর ফিরোজ আলম জানান, তাঁর বাবা মুসলিম উদ্দিন আট বছর আগে ইলেকট্রিক শকে মারা যান। পাঁচ বছর আগে তাঁর দাদাও মারা যান। দাদা এবং নিজের পরিবারের একমাত্র রুজি রোজগারের ভরসা তিনি। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন। তাঁর বেতন থেকেই দুই পরিবারের খরচ চলে। এই লটারি জিতে পরিবারের আর্থিক অনটনের খানিকটা সুরাহা হল। ছেলে লটারিতে প্রথম পুরস্কার পাওয়ায় খুশি মা সাদিকুন বেওয়া। এবার তাঁর স্বামীর স্বপ্ন পূরণ হবে এমনটাই আশা তাঁরও।

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page