top of page

সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী

প্রেমে প্রতারণা। অবসাদে এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য চাঁচল থানা এলাকায়। রবিবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ এসে তার দেহ উদ্ধার করে। আত্মঘাতী ছাত্রীর হাতে একটি সুইসাইড নোট লেখা ছিল। তাতে পরিষ্কারভাবে তার মৃত্যুর জন্য বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে তার প্রেমিককে দায়ী করেছে সে।



আত্মঘাতী নাবালিকা রানি দাক্ষায়নী বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মাম্পি ঘোষ (১৬)। বাড়ি চাঁচলের ঘোষপাড়া। বাবা মংলু ঘোষ সবজি বিক্রেতা। মা পারুল ঘোষ একটি নার্সিংহোমের কর্মী৷ তাঁদের একমাত্র সন্তান ছিল মাম্পি ওরফে সুমি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হয় মাম্পি। স্কুল থেকে ফিরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় সে। আত্মীয়ের বাড়িতে দুই দিন থেকে গত রবিবার বাড়িতে ফিরে আসে। দুপুরে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ফিরে এসে বাড়ির সমস্ত কাজ করেছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। বিকেলে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান মা। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সে সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য প্রেমিক বিশ্বজিৎ ঘোষকে দায়ী করা হয়েছে। মৃত নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে বিশ্বজিৎ ঘোষ পলাতক। তাঁকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায় নি।


মৃত নাবালিকা মা পারুল ঘোষ জানিয়েছেন, এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের সকলে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে সবাই ফিরে গেলেও মেয়ে ওই বাড়িতে থেকে যায়। গতকাল মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তিনি ডিউটিতে বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে মেয়ে তাঁকে ফোন করেছিল। তিনি আরও জানালেন, কিছুদিন আগে নার্সিংহোমে ডিউটিতে যাওয়ার পথে একটি ছেলের সাথে মেয়েকে দেখতে পাই। এরপর মেয়েকে কোনও সম্পর্কে না জড়িয়ে পড়ার জন্য বোঝাই। মেয়ে বলেছিল, ছেলেটির সাথে সে আর মিশবে না। এই ছেলেটির নাম, বিশ্বজিৎ ঘোষ, বাড়ি চণ্ডীপুর গ্রামে। কিন্তু বিশ্বজিৎ আমার মেয়েকে বিরক্ত করত। সবসময় সে মেয়েকে ফোন করত। আমরা ওর উচিত শাস্তি চাই। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।


চাঁচল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে৷

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page