পাশের গ্রামে করোনা, আতঙ্কে সাঁকো ভেঙে দুই গ্রামের যোগাযোগ ছিন্ন
পুরাতন মালদায় সন্ধান মিলেছে দুই করোনা আক্রান্তের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। মঙ্গলবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের জলঙ্গা গ্রামে ভিনরাজ্য ফেরত এক শ্রমিকের লালারসের নমুনায় করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলে। সেই খবর জানতে পেরেই নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকোর একাংশ খুলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে জলঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা।
সোমবার রাতে জানা যায়, জেলায় নতুন করে ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন পুরাতন মালদার জলঙ্গা ও বলাতুলি গ্রামের দুই ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিক। রাতেই তাঁদের পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
পুরাতন মালদার জলঙ্গা গ্রামের পাশে মৌলপুর গ্রাম। দুই গ্রামের মধ্যে দিয়ে বেহুলা নদী বয়ে গিয়েছে। দুই গ্রামের যোগাযোগের জন্য নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। এলাকায় করোনা আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেই সাঁকোর একাংশ খুলে দেয় জলঙ্গার বাসিন্দারা। মৌলপুর গ্রামের একাংশও এই কাজকে সমর্থন করেছে। যদিও এলাকাবাসীর এই কাজের বিরোধিতা করেছেন পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিব।
ইরফান সাহেব জানান, করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷ কিন্তু তার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা যাবে না৷
Comments