top of page

আক্রান্ত শহর সভাপতি, বাবলা-নন্দু কোন্দল প্রকাশ্যে

পুরভোট শেষ। ফল ঘোষিত। চারদিকে ঘাসফুল। মধ্যে কিছুটা জমি অন্য হাতে থাকলেও। গতকাল সন্ধে পর্যন্ত দুই শহরে আবির-বাজির দাপট। ৪৯ তলা বাড়ির ৪২ তলাই সবুজ।

সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়েছে। আবির-বাজির দাপট থেমেছে। দীর্ঘক্ষণের উল্লাসে তৃণমূলের কর্মীরা ক্লান্ত। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ হয়েছে তাঁদেরও। ঠিক তখনই ফের ঘুম ভেঙেছে শাসকদলের তথাকথিত দ্বন্দ্বের। নিজের বাড়ির কাছেই আক্রান্ত ইংরেজবাজার শহর তৃণমূলের সভাপতি। পুরভোটে ইংরেজবাজার পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জিততে পারেননি স্ত্রী। মনটা খারাপ ছিলই। এই অবস্থায় তাঁর উপর হামলা…

রাতে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। এই শহর তাঁকে নন্দু নামেই চেনে। তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ভাইকেও। তিনিও আক্রান্ত। আক্রান্ত তাঁর ছেলে, ভাইপো। শুধু তাঁদের উপরেই নয়, তাঁদের বাড়িতেও নাকি হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালে নন্দুবাবুর দাবি, ‘বাড়ি ফিরছিলাম। মহানন্দা পল্লির দিক থেকে একটা বিজয় মিছিল আসছিল। আমাদের দলেরই মিছিল। হঠাৎ সেই মিছিল থেকে এসে কয়েকজন যুবক আমাকে মারতে শুরু করে। আমার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। ভাই, ছেলে আর ভাইপোকেও মারা হয়েছে। এই দলে আমি প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকার। এই দলের অনেকেই আমাকে পছন্দ করে না। সেকারণেই এই হামলার ঘটনা।’

নন্দুবাবুর নিশানা যে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দুলাল সরকারের বিরুদ্ধে, তা বুঝতে এই শহরের কারওর অসুবিধে হয়নি। কারণ, ওই ওয়ার্ডকে হাতের তালুর মতো চেনেন দুলালবাবু। সেই দুলালবাবু আজ একহাত নিয়েছেন নন্দুবাবুকে। দুলালবাবু তাঁকে শহর তৃণমূল সভাপতিও মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘পুঁইশাকের ক্যাশমেমো দেখিয়ে কে কোথায় থেকে পদ পেয়েছে জানি না। নন্দুবাবু চিরদিনই কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন। আজ পর্যন্ত তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর হতে পারেননি। তিনিই কলকাঠি নেড়ে এবার আমাকে নিজের ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বের করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিলেন। তিনি জানেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আমার পরিচিত। তবু তিনি প্রচারে আমাকে ডাকেননি। নেতা-মন্ত্রীদের দিয়ে প্রচার করিয়েছেন। আসলে তিনি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের বিশ্বাসটাই অর্জন করতে পারেননি। তিনি টিভির ক্যামেরায় বলেন, কংগ্রেসেই তিনি ভালো ছিলেন। আবার তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে মানুষের কাছে যান। মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করেনি। আর গতকাল যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ পাড়াগত বিষয়। মদ খেয়ে কেউ ক্লাব দখল করতে গেলে বাধা আসবেই। আমি শুনেছি, গতকাল সেখানে নন্দুবাবুর ভাই পিস্তল চালিয়েছেন। তবে সেখানে বড়ো কিছু গোলমাল হয়নি। নন্দুবাবু আসলে নাটক করছেন।’


সব মিলিয়ে একটা জিনিস পরিষ্কার। বিধানসভায় বারোয় আট, ইংরেজবাজার পুরসভায় উনত্রিশে পঁচিশ। দিন বদলের গান শোনার অপেক্ষায় মালদা শহরের মানুষ। কিন্তু রেকর্ড প্লেয়ারের পিনটাই কেটে গিয়েছে যে…




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন



Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page