আমসত্ত্বর বাজারে করোনার কোপ
আমসত্ত্ব, নাম শুনলেই জিভে জল আসবে। নরম তুলতুলে মিষ্টি রসালো খাবারটা উদর তৃপ্তির অন্যতম উপাদান।
“না, এটা তো মালদার আমসত্ত্ব নয়”। মালদার গ্রামেগঞ্জে রীতিমতো কুটির শিল্পের আকারে যে আমসত্ত্ব তৈরি হয়, তার জুড়ি ভূভারতে মেলা মুশকিল। তবে নরম তুলতুলে নয়, একটু গাড় রঙের শক্ত কিন্তু স্বাদে মিষ্টি হয় মালদার রসালো আম থেকে তৈরি আমসত্ত্ব। দুধে দিয়ে বা এমনি খেতেও ভালো লাগে এই আমসত্ত্ব।
কীভাবে তৈরি হয় এই আমসত্ত্ব। পাকা আমের রস শুকিয়ে খানিকটা পিচবোর্ডের আকারে কেটে বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এই আমসত্ত্বের দাম একটু বেশি। গত বছরেও কিলো প্রতি এক হাজার টাকা করে আমসত্ত্ব বেচেছেন কোতোয়ালির সনাতনবাবু। গেলবার ১০ কেজি গোপালভোগ আম থেকে প্রায় দেড় কেজি আমসত্ত্ব তৈরি করেছিলেন। সবটাই বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতিটা আলাদা। আমসত্ত্ব তৈরিই করতে পারিনি সেভাবে। লাভের প্রশ্ন তো পরে। এমনিতেই আমের ফলন ভালো হয়নি। তার ওপর করোনা পরিস্থিতি বাজারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ ছিল লকডাউনের জন্য। ফলে বেশি করে আমসত্ত্ব বানানোর ভরসা পাইনি। শুধু আমি নই দাদা, গোটা জেলাতেই পরিস্থিতিটা এক। সবার দশাই খারাপ।
কোতোয়ালির গনিপুর, টিপাজানি, ধানতোলা, নরহাট্টার জোতগোপাল, জোতকস্তুরি প্রভৃতি গ্রামের ঘরে ঘরে আমসত্ত্ব তৈরি হয়। কোতোয়ালির জোতআরাপুরের আমসত্ত্বই এসবের মধ্যে সবথেকে ভালোমানের বলে শোনা যায়। তবে এবছর সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। দোকানে আমসত্ত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানদারদের বক্তব্য, বহুদিন দোকান বন্ধ ছিল। সবে খুলেছে। কিন্তু এখনো সেভাবে খরিদ্দারের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া আমসত্ত্ব খুব একটা তৈরিও হয়নি। ফলে মাল তুলি নি। পুঁজিই বা কোথায় বলুন?
[ আরও খবরঃ জমা জলের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ]
হৃদয় দাস নামে আরেক আমসত্ত্ব নির্মাতার বক্তব্য, এবছর আমসত্ত্ব তৈরিও করতে পারিনি সেভাবে। বাজারে যেটুকু পাঠাতে পেরেছি, তার দামটাও বেশি। এবার ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজির নীচে হবে না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
টপিকঃ #CoronaVirus
Comments