মহদীপুর বন্দর ‘আনলক’ করতে সতর্কবার্তা প্রশাসনকে
চার দফার লকডাউন ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, সবে শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান। স্বাভাবিক ছন্দের ফেরার আপ্রাণ চেষ্টাও বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু এখনও বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য। প্রবল সমস্যায় পড়েছেন এই রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত লক্ষাধিক পরিবার। শেষমেশ এদিন রপ্তানিকারকরা আন্দোলনে নামার সাফ হুঁশিয়ারি দিলেন প্রশাসনকে।
মহদীপুরের বাণিজ্য বন্দর বন্ধ থাকায় প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব প্রায় দেড় লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২০ কোটি টাকা। লকডাউনের সাথে সাথে বন্ধ হয়েছে এই স্থল বন্দর। ৭০ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল না দেখে মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বতঃস্ফূর্তভাবে মঙ্গলবার থেকে বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাঁধ সাধে শুল্ক দফতর। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রপ্তানিকারকরা।
বাংলাদেশে মাল খালি করে ফেরার সাথে সাথে লরিগুলিকে স্যানিটাইজড করতে হবে। গাড়ির চালক ও খালাসিকে বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে পাঠাতে হবে। সীমান্তে সবসময়ের জন্য মেডিকেলের টিম থাকবে। এইসব ব্যবস্থা নিশ্চিত হলেই শুল্ক দফতর সীমান্তে গাড়ি ছাড়ার অনুমোদন দেবে। আরও জানা গেছে, এই কাজগুলি করার কথা প্রশাসনের। আর সেজন্যই বেঁকে বসেছে শুল্ক দফতর।
দু’দিন আগে বাণিজ্য শুরু করার কথা জানিয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। এদিন অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ ফজলুল হক, মহদীপুর ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর ঘোষ এবং মহদীপুর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মণ্ডল জানালেন, প্রশাসন আমাদের কাছে আরও দু’দিনের সময় চেয়েছে। আমরা আশাবাদী, আগামী ৪ তারিখ থেকে রপ্তানি চালু হয়ে যাবে৷
তাঁরা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাল নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার লরি এখন সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই গাড়িগুলি পেঁয়াজ, মশলা, ফল ইত্যাদিতে ভরতি। এগুলি দামি ও পচনশীল জিনিস৷ এতদিন ধরে গাড়ি বন্ধ থাকায় প্রতিটি লরির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ প্রবল সমস্যায় পড়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক লক্ষের বেশি পরিবার৷ আমরা আগামী ৪ তারিখ গাড়ি ছাড়ার অনুমোদন না পেলে আন্দোলনের পথে নামব।
Kommentare