বন্যার প্রথম কোপ বামনগোলায়, প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম
এবার বন্যার কবলে পড়ল মালদা৷ বন্যার প্রথম কোপ পড়েছে বামনগোলা ব্লকের কয়েকটি গ্রামে৷ ওই ব্লকের বাঁশিপাড়া গ্রামে বাঁধ ভেঙেছে পুনর্ভবার৷ প্রায় ১০০ মিটার এলাকার বাঁধভাঙা জলে প্লাবিত এলাকার পাঁচ-সাতটি গ্রাম৷ কয়েক হাজার বিঘার আমন ধানের চাষ এখন জলের নীচে৷ তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ব্লক প্রশাসনের কাছে নেই৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা সেচ দফতর৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বামনগোলা ব্লকের বাঁশিপাড়া গ্রামে পুনর্ভবার বাঁধে ফাটল দেখা দেয়৷ সেই ফাটল এখন প্রায় ১০০ মিটার হয়ে গিয়েছে৷ বামনগোলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ভোলাসামনা, গাড়াপাড়া, বাঁশিপাড়া, কুপাদহ সহ পাঁচ-সাতটি গ্রামের৷ কয়েক হাজার বিঘা জমির চাষ এখন জলের তলায়৷ কিছু বাড়িও জলবন্দি হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ বিপন্ন মানুষজন ভিড় জমিয়েছে ভাঙা বাঁধে৷ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ বলে সন্দেহ তাদের৷
এলাকাবাসীর দাবি, গতকাল রাতে প্রথমে গর্ত দিয়ে বাঁধ চুইয়ে নদীর জল গ্রামে ঢুকছিল৷ মাটি ফেলে সেই গর্ত বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়৷ তবে তাতেও রক্ষা হয়নি। এখন প্রায় ৬০ মিটার বাঁধ কেটে গিয়েছে৷ আরও ১০-১৫ মিটার কাটবে বলে মনে হচ্ছে৷ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে৷ কয়েক হাজার জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ এমনকি নদীর জলে পাঁচ-সাতটি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কাউকে এলাকায় দেখা যায়নি৷
[ আরও খবরঃ একরাতে পাশাপাশি দু’টি মন্দিরে চুরি ]
বামনগোলার বিডিও সঞ্জিৎ মণ্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেচ দফতরের আধিকারিক প্রণবকুমার সামন্ত জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তবে ওই এলাকায় সেচ দফতরের কোনও বাঁধ নেই। নদী থেকে রাস্তা উঁচু থাকায় এলাকাবাসীদের অনেকেই রাস্তা বাঁধ ভাবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments