ডুবেছে হাজার বিঘা জমির ফসল, আতঙ্ক হরিশ্চন্দ্রপুরে
মানিকচক, কালিয়াচক-৩, রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের পর এবার ভাঙনের আতঙ্ক হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকে। ইতিমধ্যে ব্লকের উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া সহ বেশ কিছু এলাকা দিয়ে ফুলহরের জল বইছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাকুরিয়ায় ফুলহর নদীর রিং বাঁধে ফাটলও ধরেছে। তবে এখনও এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের দেখা মেলেনি। দেখা মেলেনি উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুরও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ থাকে। ফুলহরের জলে কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল ডুবে গিয়েছে৷ জলে তলিয়েছে অনেক বাড়িঘরও। এলাকায় পানীয় জল, খাবার, চিকিৎসা পরিসেবা সমস্ত কিছুর অভাব রয়েছে। কিন্তু এখনও প্রশাসনের দেখা পাওয়া যায়নি। দেখা যায়নি জন প্রতিনিধিদেরও।
সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, নিজেদের পকেট ভরার সুযোগ না থাকলে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কোথাও যান না৷ বন্যা হলেই সেচ দফতর কাজ শুরু করে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাও এলাকায় ছুটোছুটি শুরু করেন। দুইদিন আগে বন্যা আর ভাঙন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য জেলাশাসককে জানিয়েছেন তিনি। দিশা কমিটির বৈঠক থেকে বড়ো প্রকল্প হাতে নেওয়া যায়, সেই বৈঠকও ডাকার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তোবারক হোসেন জানান, বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরেছেন। শীঘ্রই ওই বন্যাদুর্গত এলাকায় তাঁরা যাবেন৷ তৃণমূলের লোকজনই দুর্গত মানুষদের পাশে থাকে। বিজেপির সাংসদ ভাঙন রোধের কোনও কাজ করতে পারবেন না।
[ আরও খবরঃ বোমা মজুত বালতি মাটিতে পোঁতা? চাঞ্চল্য পুখুরিয়ায় ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments