কাটমানি না দেওয়ায় বিবাহিত দেখিয়ে কন্যাশ্রী থেকে নাম বাতিল ছাত্রীর
কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিল এক ছাত্রী। কিন্তু প্রকল্পের সুবিধের জন্য ওই ছাত্রীর কাছে কাটমানি দাবি করা হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় সরকারি খাতায় ওই ছাত্রীকে বিবাহিত উল্লেখ করে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বছর দেড়েক ধরে পঞ্চায়েত দপ্তরে ঘুরে ঘুরে অবশেষে বিডিও দ্বারস্থ হলেন ওই ছাত্রী। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের চাঁদমণি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা সুলতানা পারভিন। সে স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী৷ সুলতানার অভিযোগ, দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পেতে ফর্ম জমা করে সুলতানা। সুলতানার সঙ্গে তার বন্ধুরাও ফর্ম জমা দিয়েছিল। বন্ধুদের প্রক্রিয়া এগোলেও সুলতানার আবেদনের প্রক্রিয়া থমকে থেকে যায়। এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে গিয়ে বিষয়টি জানায় সুলতানা। সেই সময় এক কর্মী সুলতানার কাছে কাটমানি দাবি করে। সেই টাকা না দেওয়ায় দেড় বছর ধরে পঞ্চায়েত দপ্তরে ঘোরার পরেও বারবার তাকে ফিরে আসতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্লকে খোঁজ নিয়ে সুলতানা জানতে পারে, তাকে বিবাহিত দেখিয়ে পঞ্চায়েত থেকে ব্লকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন সুলতানা।
বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক জানান, সুলতানা সমস্ত ঘটনা আমাকে জানায়। আমরা ওর ফর্ম খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েতে পাঠিয়েছি। কেন এধরণের ঘটনা ঘটেছে আমরা ব্লকে তা জানতে চেয়েছিলাম। ব্লকের নোডাল অফিসারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কিছু হয়নি।
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments