ইয়ার্কি করছিলাম! ভাইরাল ভিডিয়োয় কাটমানির দাবিতে সাফাই তৃণমূল নেতার
আবার যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা চাইছেন তৃণমূল নেতা তথা স্কুলের শিক্ষক। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের মালদা। সেই ভিডিয়ো নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ওই শিক্ষক। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে ইয়ার্কি করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্তবাবু জানিয়েছিলেন, মালতিপুরের এক তৃণমূল নেতা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলা তুলছেন৷ সেই ভিডিয়ো তাঁদের হাতে রয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি মানুষ জেনে ফেলেছে, তৃণমূল মানে তোলামূল পার্টি৷ ওদের তোলা তোলাই কাজ৷
জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ভিডিয়োয় থাকা ওই ব্যক্তি চন্দন সাহা৷ তাঁর বাড়ি চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের কাণ্ডারণ সংলগ্ন কাজলদিঘি গ্রামে৷ পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ ঘটনাপ্রসঙ্গে চন্দনবাবুর বক্তব্য, ঘটনাটি আগের মঙ্গলবারের৷ ওই গ্রামেই তাঁদের বাড়ি৷ যার সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন৷ তিনি ইয়ার্কি করছিলেন৷ তখনই হয়তো তিনি কিছু বলেছেন৷ বিরোধীরা তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ওই ভাইরাল ভিডিওতে চন্দনবাবুর সঙ্গে যাঁকে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তাঁর নাম বিনোদ রায়৷ বিনোদবাবু জানান, সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেছিল চন্দন রায় নামে ওই তৃণমূল নেতা। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে বচসাও হয়েছিল।
[ আরও খবরঃ মানিকচকে ফের বোমা উদ্ধার, শুরু রাজনৈতিক তরজা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários