না খেতে পেয়ে মৃত্যু সদ্যোজাতের, কাঠগড়ায় বৃহন্নলা
আড়াই ঘণ্টা ধরে মায়ের থেকে দূরে রাখার ফলে না খেতে পেয়ে ২১ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ মানিকচকে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজই মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
বাঙালগ্রামের বাসিন্দা মাম্পি সরকার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৯ অক্টোবর মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তিনি ওই তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। গতকাল ওই সন্তানদের শুভ কামনায় তাঁর বাড়িতে হাজির হয় এক স্থানীয় বৃহন্নলা আওলাদ আলি। অভিযোগ, শিশুদের শুভকামনার নামে তিন ঘণ্টা ধরে শিশুটিকে নিজের কাছে আটকে রাখে ওই বৃহন্নলা। জোরে জোরে ঢোল বাজাতে থাকেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে খেতেও দেওয়া হয়নি শিশুটিকে। বৃহন্নলা প্রথমে পাঁচ হাজার পরে বারোশো টাকা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করাতেই দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এক আশাকর্মী বৃহন্নলাকে শিশু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে মৃত্যু হয় শিশুটির। এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান মানিকচক থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মাম্পিদেবীর অভিযোগ, গতকাল এক বৃহন্নলা বাড়িতে আসে। বাচ্চাটাকে নিজে নিয়ে নেয়। বারবার বাচ্চাকে ফেরত চাইলেও সে বাচ্চা দিচ্ছিল না। একসময় বাচ্চাটার মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে যায়। খবর পেয়ে আশাদিদি এসেও ওই বৃহন্নলাকে বাচ্চা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তাঁর কথাতেও পাত্তা দেয়নি ওই বৃহন্নলা। একসময় সে বাচ্চাকে ফেরত দিলেও বাচ্চা আর দুধ খেতে পারেনি। তার আগেই মৃত্যু হয় বাচ্চার।
ধৃত বৃহন্নলা আওলাদ আলির দাবি, বাচ্চা নিয়ে তিনি নাচ-গান করছিলেন। একটা ছেলেকে দিয়ে আরেক ছেলেকে কোলে নিয়েছিলেন। তখনই ওরা বলে, এই ছেলের মুখ ফ্যাকাসে লাগছে। বিষয়টি দেখেই ছেলেকে ওদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছেলেটা মারা যাওয়ায় আর দুধ খাইনি। সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে তাঁকে মারধর করে পরিবারের লোকজন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments