শ্রমিক স্পেশালে অর্ধাহারে ফিরল কিশোর, মৃত্যু মালদা মেডিকেলে
মুম্বাই থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মালদায় ফিরে কোয়রান্টিনে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ বছরের পীযূষ দাস। রবিবার রাতে তাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদা হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয়। গতকাল রাতে মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। অভিযোগ, মুম্বাই থেকে ট্রেনে ফেরার সময় পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল পীযূষ। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মৃত্যু হয়েছে পীযূষের। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তার লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পীযূষ দাসের মামা গাবলু দাস জানান, ছয় মাস আগে পীযূষ মুম্বাইতে কাজে গিয়েছিল। লকডাউনে কোম্পানি বন্ধ হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। তাই ওকে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে আসতে বলেছিল। পরিবারের কথায় মুম্বাই থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি ফিরছিল সে। দীর্ঘদিন অনাহারে থাকার পর ট্রেনে জেলায় ফিরে কোয়রান্টিন সেন্টারে পৌঁছতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয়। গতকাল রাতে মৃত্যু হয় পীযূষের। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় দাস জানান, শুনতে পেয়েছি পীযূষ ট্রেনে খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়েছিল। কোয়রান্টিন সেন্টারে আসার পরে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার।
জেলাপরিষদের শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান, ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের খাদ্য ও পানীয়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সরকারিভাবে ওই পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
[ আরও খবর: মালতিপুরে উদ্ধার গলার নলি কাটা দেহ, তোলপাড় ]
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মেডিকেল অফিসার সাগর বসাক জানান, ওই কিশোর অসুস্থ অবস্থায় কোয়রান্টিন সেন্টারে এসেছিল। কোয়রান্টিন সেন্টারে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয়। গতকাল রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। মালদা মেডিকেল কলেজে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
টপিকঃ #MigrantWorkers
Comments