নিছকই সন্দেহের বশে গণপিটুনি খেলেন তিন ব্যক্তি
অপহরণকারী সন্দেহে গণপিটুনি খেলেন তিন ব্যক্তি। এদিন দুপুরে ঘটনাট ঘটেছে রতুয়ার বালুপুর গ্রামে। অনেক চেষ্টার পর আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিছকই সন্দেহের বশে এদিন এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ভাদো পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা সরিফ শেখ (২২) পেশায় ভিন রাজ্যে শ্রমিক পাঠানোর ঠিকাদার। সম্প্রতি তিনি পাটনায় শ্রমিক পাঠিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ রয়েছে বালুপুর গ্রামের শেখ মিঠুর (২৪)। সেই সূত্রে মিঠুর কাছে ২০ হাজার টাকা পান সরিফ। কিন্তু সেই টাকা মিঠু তাঁকে ফেরত দিচ্ছিল না। এদিকে শ্রমিক সরাবরাহ নিয়ে সরিফ সাহেবের কাছে বেশ কিছু টাকা পেত হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামের কয়েকজন শ্রমিক সরাবরাহকারী। সরিফও সেই টাকা মেটাতে পারছিলেন না। তাই মিঠুর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে এদিন সরিফ এলাকার বিচক্ষণ মানুষ হিসেবে পরিচিত রামপুরের দুই বয়স্ক আরএসপি কর্মী হাফিজুর রহমান (৫১), মোশা আলি (৫৫) ও বিহারের বাসিন্দা এমাজুদ্দিন শেখকে (৫৫) বালুপুরে নিয়ে যান। তাঁরা সবাই মিঠুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এদিকে সরিফ বালুপুর গ্রামে গিয়েছেন খবর পেয়ে জগন্নাথপুর গ্রামের পাঁচ-ছয় জন সেখানে উপস্থিত হয়ে সরিফকে মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে চলে যায়।
চোখের সামনে সরিফকে অপহৃত হতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা হাফিজুর, মোশা ও এমাজুদ্দিনকে গণধোলাই দিতে শুরু করেন। খবর পেয়ে রতুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। অনেক চেষ্টার পর পুলিশ তিন জনকে থানায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে এমাজুদ্দিনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত সরিফকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ দায়ের না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments