আরজিকর ইস্যুর মধ্যে ফের মালদায় চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ
আরজিকর মেডিকেলের ঘটনায় এখনও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামছেন সাধারণ মানুষ। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। এরই মধ্যে ফের চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ মালদায়। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে৷ গতকাল রাতেই এনিয়ে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন নিগৃহীত চিকিৎসক৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর বাচ্চাকে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ ভর্তির পর বাচ্চার জ্বরের চিকিৎসাও শুরু হয়৷ বেশ কয়েক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বাচ্চাটিকে মালদা মেডিকেলে রেফার করার সিদ্ধান্ত নেন৷ অভিযোগ, এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে গালিগালাজ করতে শুরু করে ওই বাচ্চার পরিবারের লোকজন। ওই চিকিৎসকের পাশাপাশি স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে মালদা থানার পুলিশ৷
নিগৃহীত চিকিৎসক অরিন্দম চাকি জানান, গতকাল সকালে চার বছরের একটি বাচ্চাকে এখানে ভর্তি করা হয়৷ বাচ্চাটি চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল৷ রাউন্ড দেওয়ার সময় বাচ্চাটিকে পরীক্ষা করি৷ তখন সে স্থিতিশীল ছিল৷ তবে তখনও তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টগুলি এসে পৌঁছোয়নি৷ বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ অভিভাবকরা জানান, বাচ্চার মুখে ঘা হয়েছে৷ কিছু খেতে পারছে না৷ আমি পরীক্ষা করে দেখি, বাচ্চার জিভ লাল হয়ে গিয়েছে৷ পরিস্থিতি সুবিধের নয় ভেবে আমরা তাকে মেডিকেলে রেফার করার সিদ্ধান্ত নিই৷ এখানে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকার জন্যই বাচ্চাটিকে মালদা মেডিকেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ অভিভাবকদের মালদা মেডিকেলে রেফারের বিষয়টি জানানো হতেই তাঁরা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন৷ শুধু আমাকে নয়, ওয়ার্ডে উপস্থিত স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও নিগ্রহ করা হয়৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ আমি সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments