top of page

মোটা টাকার লোভ ছেড়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করে 'হিরো'

করোনা সংক্রমণের মধ্যে বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা: জোয়েব ফরহাদ বিশ্বাস। কালিয়াচকের জালালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের এই ডাক্তার এখন সাধারণ মানুষের কাছে নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন। অনেকেই এই ডাক্তারকে সমাজের হিরো বলে ডাকতে শুরু করেছেন।


জালালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ফতেখানি গ্রামে শতাধিক গরীব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিসেবা দেন জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা: জোয়েব ফরহাদ বিশ্বাস। মাটির রাস্তা পেরিয়ে প্রতিদিন সকালে মোটরবাইকে গ্রামে বাড়ি বাড়ি চিকিৎসা দিতে ছুটে চলেছেন তিনি। জন্মসূত্রে কালিয়াচক মোজামপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও ছোটো থেকেই তিনি পড়েছেন ভিনরাজ্যে। পরবর্তীতে কেপিসি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস সম্পূর্ণ করে শুরু হয় ডাক্তারি। কিন্তু কয়েক বছর বাইরে চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়ার পরে মাটির টানে গ্রামের দুস্থ অসহায় মানুষদের পরিষেবা দিতেই ফিরে এসেছেন কালিয়াচকে।


মঙ্গলবার সাদামাটা পোশাকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল ডা: জোয়েব ফরহাদ বিশ্বাসকে। চোখের সামনেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। রোগীর দেখার পর প্রেসক্রাইব করে বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু।



ফতেখানি গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা বিবি, কামাল হোসেনের বক্তব্য, আমরা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি গ্রামে বসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিসেবা পাব। গ্রাম থেকে মালদা শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখানো খুবই কষ্টকর। করোনা সংক্রমণের মধ্যে অধিকাংশ ডাক্তার প্রাইভেট চেম্বারে বসছে না। মেডিকেল কলেজে রোগীদের আউটডোরে ঠেলাঠেলি অবস্থা। কিন্তু এখন গ্রামের ছেলে ডাক্তার হয়ে ফিরে এসেছেন। যখনই অসুস্থ রোগীর কথা শুনতে পাচ্ছেন, তখনই তিনি ছুটে আসছেন রোগীর বাড়ি। রোগ নির্ণয় করে ওষুধ দিচ্ছেন। তাও আবার বিনামূল্যে। এরকম ঘটনা কালিয়াচকের মানুষের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে।




ডা: জোয়েব ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ছোটো থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। এমবিবিএস সম্পূর্ণ করার পর, জেনারেল ফিজিশিয়ান হয়ে কলকাতা এবং বাইরে রাজ্যে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস করেছি। কিন্তু মন বসাতে পারিনি। গ্রামের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। তাই নিজের জন্মভিটে কালিয়াচকে ফিরে এসেছি। যতদিন পারব গাঁটের টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালিয়ে যাব।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentários


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page