ষষ্ঠী থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রপগেট
করোনা আবহ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। পুজোর স্বাদ চেটেপুটে উপভোগ করতে ইতিমধ্যে রাস্তায় মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। পুজোর দিনগুলিতে শহরের রাস্তায় রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেই প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এবছর ৫৪টি ড্রপ গেট থাকছে। ষষ্ঠী থেকে নবমী দুপুর তিনটে থেকে রাত তিনটে পর্যন্ত এই ড্রপ গেট কার্যকর হবে। ভিড় এড়াতে বেশ কিছু রাস্তা ওয়ান-ওয়ে করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য শহরের চারিদিকে মোট ছয়টি পার্কিং জোন থাকছে। সেগুলি হল সেতু মোড়, রামনগর কাছারি, গৌড়বঙ্গ বাস টার্মিনাস, মহেশমাটি মাঠ (রিজেন্ট পার্ক), মালদা কলেজ মাঠ ও মালদা টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। দর্শনার্থীদের সাহায্যের জন্য জেলা পুলিশ ১৫টি সহায়ক বুথের ব্যবস্থা করছে। এই বুথ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা, গাইড ম্যাপ, শিশুদের জন্য পরিচয়পত্রের সুবিধে পাবেন দর্শনার্থীরা। জাতীয় সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে পুজোর দিনগুলিতে পণ্যবাহী লরি শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। জাতীয় সড়কের পরিবর্তে পণ্যবাহী লরি বাইপাস দিয়ে চলাচল করবে। পুজোর দিনগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বাইরে থেকে ২২০ জন কনস্টেবল নিয়ে আসা হচ্ছে।
[ আরও খবরঃ ইউনেস্কোর সম্মাননা এইবার দিলীপ স্মৃতি সংঘের থিমে ]
জেলা পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, পুজোর দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শহর জুড়ে ১৫টি পুলিশ সহায়ক বুথ থাকছে। মহিলাদের নিরাপত্তায় উইনার্স টিম শহর জুড়ে টহল দেবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে মোতায়েন করা হবে। রাত তিনটের পর ড্রপ গেট খুলে দেওয়া হলে মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণের দিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments