পুজোর ৩৩ দিন বাকি, ডাক না পাওয়ার আশঙ্কায় জেলার ঢাকিরা
মহালয়া শেষ। শুরু হয়েছে মাতৃপক্ষ। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তারপরেই আপামর বাঙালি মেতে উঠবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয়। কিন্তু এই উৎসবের আবহে মন ভালো নেই ঢাক শিল্পীদের। পুজো কমিটিগুলি থেকে এখনও অনেক শিল্পী ডাক পাননি। এবারের পুজোতে ঢাক শিল্পীদের ডাক আসবে কিনা সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটছে চাঁচলের ঢাকি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।
![Drummers are afraid of not getting a puja call](https://static.wixstatic.com/media/dac04b_36b7b402ea2a4c92aa685bb4531e1fdc~mv2.jpg/v1/fill/w_910,h_512,al_c,q_85,enc_auto/dac04b_36b7b402ea2a4c92aa685bb4531e1fdc~mv2.jpg)
প্রতিবছর এই সময়ে চাঁচলের পাহাড়পুর, বহিরগাছি ঢাকিপাড়ায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় পুজোর। ঢাকের নতুন খোল তৈরি হয়। গ্রামে এক জায়গায় মিলিত হয়ে রেওয়াজ করেন শিল্পীরা। এবছরও ঢাকিপাড়া থেকে ঢাকের বোল ভেসে আসছে ঠিকই, কিন্তু শিল্পীদের মনে নেই আনন্দ। কারণ এখনও পুজো কমিটি ঢাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
[ আরও খবরঃ পুজোর ‘নিউ নর্মালে’ পাট চুকেছে চাঁদার ]
চাঁচলের বহিরগাছি এলাকার ঢাক শিল্পী বিশ্বনাথ দাস, সুজিত দাস, মান্নু দাস, অঙ্কর দাসরা বংশপরম্পরায় ঢাক বাজিয়ে আসছেন। এককথায় ঢাক বাজানো হচ্ছে তাঁদের প্রধান জীবিকা। প্রতি বছর পুজোর সময় দূরদূরান্ত থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক বাজানোর জন্য ডাক আসে। কিন্তু এবছর করোনাসুরের প্রভাব পড়েছে তাঁদের পেশায়। অন্যান্য বছর বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই পুজো কমিটিগুলো ঢাকের বায়না করতে আসে। কিন্তু এবছর এখনও পর্যন্ত কোনও বায়না হয়নি বেশিরভাগ ঢাকিদের। স্বভাবতই কাজ হারানোর আশঙ্কার দিন কাটছে ঢাকিদের।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios