top of page

৯ মাসের শিশুর মৃত্যু মেডিকেল কলেজে

খবরের শিরোনামে আবারও। চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে৷ মঙ্গলবার সকালে ৯ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত শিশুর অভিভাবকরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনো দায়ের হয়নি৷


৯ মাসের মৃত শিশুর নাম আনেষা খাতুন৷ বাবা আজিজুর রহমান পেশায় শ্রমিক৷ মা আকতারা বিবি৷ তাঁদের বাড়ি পুরাতন মালদা পৌরসভার মৌলপুর এলাকায়৷ আজিজুরের অভিযোগ, গত রবিবার রাতে তাঁর মেয়ে চৌকি থেকে পড়ে যায়৷ তার মাথার পিছনের অংশ বেশ ফুলে গিয়েছিল৷ পরদিন সকালে তাঁরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলের আউটডোরে নিয়ে আসেন৷ সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে জানান, আনেষার মাথায় রক্ত জমাট হয়ে রয়েছে৷ ওই জমাট রক্ত বের করতে হবে৷ আউটডোরেই আরও দুজন তাঁর মেয়ের মাথার ফোলা অংশ চিরে জমাট রক্ত বের করেন৷ তাঁরা চিকিৎসক কিনা তা তিনি জানেন না৷ তবে এই কাজের জন্য তাঁরা ১০০ টাকা দাবি করেছিলেন৷ জমাট রক্ত বের করার পর মাথায় ব্যান্ডেজ করে তাঁর মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ সেখানে কোনও ওষুধ লাগানো হয়নি৷ ড্রেসিং ও ব্যান্ডেজ করার জন্য তাঁকে দু’দিন পর ফের আউটডোরে আসতে বলেন চিকিৎসক৷ তাঁরাও মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যান৷


৯ মাসের শিশুর মৃত্যু মেডিকেল কলেজে

আজিজুর বলেন, বাড়ি ফেরার পরই মেয়ের মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে৷ তাঁরা আনেষাকে বাড়ির কাছে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানকার চিকিৎসকরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন৷ সেই পরামর্শ মেনে গতকাল তাঁরা আনেষাকে মেডিকেলে ভর্তি করেন৷ কিন্তু ভর্তি করার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনও চিকিৎসক আনেষাকে দেখতে আসেননি৷ স্বাস্থ্যকর্মীরাও কোনও সহযোগিতা করেননি৷ শেষ পর্যন্ত এদিন সকালে মারা যায় তাঁর মেয়ে৷ আজিজুরের সাফ কথা, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই মালদা মেডিকেলে আনেষা মারা গিয়েছে৷ তিনি এনিয়ে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

একই বক্তব্য আজিজুরের দাদা রাজ্জাক আলি ও মা আজনুর বিবির৷ তাঁরাও এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন৷ আনেষার মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তাঁরা৷ গোটা ঘটনা জানিয়ে এদিনই তাঁরা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন৷

মালদা মেডিকেলের এমএসভিপি অমিত দাঁ বলেন, এই ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ হলেও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি৷ তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি এনিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন৷ ওই শিশুটির মস্তিষ্কে আঘাত ছিল৷ প্রথম দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন আউটডোরের চিকিৎসক৷ কিন্তু অভিভাবকরা কোনও কারণবশত শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেনি৷ পরের দিন ভর্তি করার পর তাঁদের হাতে থাকা পরিকাঠামো অনুযায়ী শিশুটিকে চিকিৎসা করা হয়েছে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়৷ শিশুটির অভিভাবকরা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেছেন এবং মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentários


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page